সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর মন্দিরের মধ্যেই জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে৷ পুলিশকে ফোন করা হলেও, কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ৷ নারকীয় এই ঘটনার সাক্ষী যোগীর উত্তরপ্রদেশের সম্বলে৷
[বিতর্কের মাঝে ‘সেক্রেড গেম’ ইস্যুতে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী]
কর্মসূত্রে দিল্লির গাজিয়াবাদে থাকেন নির্যাতিতার স্বামী৷ দুই সন্তানকে নিয়ে সম্বলের পাঠকপুর গ্রামে থাকতেন ওই মহিলা৷ বাড়ির কাজ মিটিয়ে শনিবার রাতে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি৷ অভিযোগ, ঘুমিয়ে পরার পর জোর করে বাড়িতে ঢুকে পরে পাঁচজন যুবক৷ অপহরণ করে গ্রামেরই এক মন্দিরে নিয়ে যায় তাকে৷ সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করে পাঁচজন৷ এরপর ওই মন্দিরে আটকে রেখে বাইরে চলে আসে তারা৷ বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দেয় যুবকেরা৷ মন্দিরের ভেতরে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ পুলিশকে ১০০ নম্বরে বারবার ফোন করা হয়৷ তা সত্ত্বেও ওই মহিলা কোনও সাহায্য পাননি বলেও অভিযোগ৷
[বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ বিএসএফ জওয়ানের, অপমানে আত্মঘাতী নির্যাতিতা]
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মিলেছে গণধর্ষণের প্রমাণ৷ রাজপুরা থানার পুলিশ আধিকারিক অরুণ কুমার বলেন,‘‘আরাম সিং, মহাবীর, চরণ সিং, গুল্লু ও কুমার পাল নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ডি, ৩০২, ২০১, ১৪৭, ১৪৮ ও ১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷’’ যদিও মহিলার পরিবারের দাবি, একা থাকার সুযোগে বহুবারই কুপ্রস্তাব দেওয়া হত ওই মহিলাকে৷ কিন্তু তিনি তাতে কখনওই সায় দেননি৷ তার জেরে এমন নির্মম পরিণতি৷ মহিলার কললিস্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ মহিলা আত্মীয়ার দাবি, ঘটনার আগের দিন রাতে ফোনে শেষ বার ওই যুবকদের কুপ্রস্তাবের কথা জানিয়েছিলেন৷ যদিও নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে এলাকাছাড়া ওই অভিযুক্তরা৷ ধৃতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ এই ঘটনার পরই আরও একবার প্রশ্নের মুখে যোগীর রাজ্যের নারী নিরাপত্তা৷
The post গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরের মধ্যে পুড়িয়ে মারল ৫ যুবক, প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন appeared first on Sangbad Pratidin.