সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে গেমে (Online Game) মজে স্ত্রী। বাধা দিলেই নিত্যদিন অশান্তি বাঁধত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এবার সেই স্ত্রীয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও ধৃতের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা।
মৃতের নাম পিউ হাজরা। গত আগস্ট মাসে ট্যাংরার বাসিন্দা সঞ্জয় হালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই মোবাইল গেমে আসক্ত পিউ। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, সারাদিনই মোবাইল গেমে ডুবে থাকতেন নতুন বধূ। পরিবারের কারোর সঙ্গেই কথা বলতেন না তিনি। সঞ্জয় বারবার গেম খেলতে নিষেধ করলেও সে কথা কানে তোলেননি পিউ। এ নিয়ে প্রায়শই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হত।
[আরও পড়ুন: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল, যুব মোর্চার সভাপতি পদ খোয়ালেন সৌমিত্র খাঁ]
গতকাল সকালেও মোবাইল গেম ঘিরে দুজনেক মধ্যে চরমে ওঠে অশান্তি। তার পর কাজে বেরিয়ে যান সঞ্জয়। ফিরে এসে ঘরে পিউয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে নার্সরা জানান, পিউ জীবিত আছেন। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, পরিবারের সকলে একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন। পিউকে-ও সেখানে ডাকা হয়। সেইসময় তিনি মোবাইলে গেমে মজে ছিলেন। কিন্ত তিনি জানিয়েছিলেন, পরে আসবেন। এ নিয়ে পিউ-সঞ্জয়ের মধ্যে বচসা হয়। তার পর কাজে চলে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। ফিরে এসে দেখেন পিউ গলায় ফাঁস দিয়েছেন।
যদিও সঞ্জয়ের পরিবারের অভিযোগ মানতে নারাজ পিউয়ের পরিবার। তাঁদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পিউয়ের উপর অত্যাচার করত। অভিযোগ, এদিনও অত্যাচার করে তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।