সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কুসংস্কারের বলি। সাপের ছোবলের পরেও হয়নি চিকিৎসা। পরিবর্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে ওঝার ঝাড়ফুঁক। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত প্রাণহানি হল মহিলার। শিক্ষার আলো যে এখনও সর্বত্র পৌঁছয়নি তাই যেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঘটনায় আরও একবার প্রমাণ হল।
দেগঙ্গার (Deganga) শ্বেতপুরের বাসিন্দা মামুদা বিবি। বুধবার গভীর রাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই ঘুম ভেঙে যায়। দেখেন তাঁর হাতে কামড়ে দিয়েছে সাপ। পরিজনদের সেকথা জানান মামুদা। তবে পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও বন্দোবস্ত করেননি। ওই গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ২ বছর বয়সেই পিতৃহারা, কোভিডে গৃহকর্তার মৃত্যুর পর আতান্তরে বর্ধমানের মণ্ডল পরিবার]
ওঝা দীর্ঘক্ষণ ঝাড়ফুঁক করে তাঁকে। আশ্বাস দেন আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন ওই গৃহবধূ। তবে তার পরিবর্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে মামুদার। তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা করা হয় তাঁর। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে হাসপাতালে আনলে হয়তো গৃহবধূকে বাঁচানো সম্ভব হত।
এর আগে গত মাসে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে সাপের (Snake) কামড়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। একটি ঘটনা ঘটে দেগঙ্গার কুমরুলি গ্রামে। অপর ঘটনাটি দেগঙ্গার বেঁড়াচাপার। দু’জনকেই হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝাকে দিয়ে ঝাঁড়ফুক করানো হয়। তার ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় প্রাণহানি হয় দু’জনের। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত অনেকেই। কেন গ্রামবাংলায় কুসংস্কার রুখতে সঠিকভাবে প্রচার হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।