সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, বিপদে বন্ধু চেনা যায়। কটকের বাসিন্দা মিনতি পট্টনায়েকও বিপদেই বুঝতে পেরেছিলেন, কে আপন। সেই কারণেই নিজের ১ কোটি টাকার সম্পত্তি দান করলেন এক রিক্সাচালককে। নিশ্চয়ই ভাবছেন ব্যাপারটা কী?
জানা গিয়েছে, ওড়িশার (Odisha) কটকের বাসিন্দা মিনতি পট্টনায়েক। বয়স ৬৩ বছর। স্বামী ও মেয়েকে নিয়েই ছিল সংসার। বরাবরই তাঁদের টুকটাক কাজ করে দিতেন বুদ্ধ শ্যামল নামে এক রিক্সাচালক। রিক্সায় পৌঁছে দিতেন গন্তব্যে। ২০২০ সালে মৃত্যু হয় মিনতিদেবীর স্বামীর। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে মৃত্যু হয় তাঁর মেয়ের। স্বাভাবিকভাবেই একা হয়ে যান বৃদ্ধা। আত্মীয়স্বজন প্রচুর থাকলেও মিনতিদেবীর একাকীত্ব ঘোঁচাতে পাশে এসে দাঁড়াননি কেউই। কিন্তু বুদ্ধ ও তাঁর পরিবার বরাবরই মিনতিদেবীর পাশে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক খুললেই বসকে কষিয়ে চড় মারতে হবে! আজব চাকরির জন্য মোটা বেতন পাচ্ছেন কর্মী]
সেই কারণেই নিজের বাড়ি, গয়না-সহ মোট কোটি টাকার সম্পত্তি (Property) বুদ্ধকে দান করার সিদ্ধান্ত নিলেন মিনতিদেবী। তাঁর কথায়, “স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর পর সম্পত্তির আর কোনও মূল্য নেই। আর দুঃসময়ে বুদ্ধ আর ওর পরিবার ছাড়া কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি। ওরা আমার জন্য প্রাণপাত করে চলেছে, সেই কারণেই আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি বুদ্ধকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে আমার মৃত্যুর পর কেউ ওদের সমস্যায় না ফেলতে পারে।”
এমন উপহার কোনওদিন স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বুদ্ধ। তিনি বলেন, “২৫ বছর ধরে পট্টনায়েক পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। এই পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কেউ আমার রিক্সায় চড়েননি। তবে কোনওদিনও এমন কিছু আশা করিনি।” পাশাপাশি তিনি বুদ্ধ আরও জানিয়েছেন, তিনি এতবছর মিনতিদেবীদের পাশে ছিলেন, আগামীতেও থাকবেন।