দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের প্রেমিকের হাত ধরে পলাতক গৃহবধূ। এবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ায়। ১৪ বছরের সংসার ও দুই সন্তানকে ছেড়ে ওয়েল্ডিংয়ের দোকানের মিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়েছেন গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ উঠছে রবীন্দ্রনগর কালিতলা এলাকায়। আর এই ঘটনাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছে বালির দুই গৃহবধূর (Bali Women) রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে পালানোর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গৃহবধূর নাম সুমি। ১৪ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় রবীন্দ্রনগর কালিতলা এলাকার বাসিন্দা নিতাই দে’র সঙ্গে। দু’জনের এক ১২ বছরের ছেলে ও এক পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে থেকেই নিখোঁজ সুমি। থানায় সেই অভিযোগ জানান নিতাই। পরে তিনিই আবার অভিযোগ জানান, বাড়ির উলটো দিকের ওয়েল্ডিংয়ের দোকানের মিস্ত্রি বাপি বড়ালের সঙ্গে পালিয়েছেন সুমি দে।
[আরও পড়ুন: আনিস হত্যার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ, সাসপেন্ড আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মী]
নিতাইবাবু জানান, ১৪ বছরের সংসারে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। মাঝে মধ্যে একটু অশান্তি হত। তাঁর অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগেও এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুমিদেবী। তাঁর সঙ্গেও পালিয়ে গিয়েছিলেন। সন্তানদের কথা ভেবে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনেন নিতাই দে। কিছুদিন আগে নতুন মোবাইলের জন্য বায়না করেছিলেন স্ত্রী। তাও কিনে দিয়েছিলেন বলে জানান কালিতলার বাসিন্দা।
নিতাইবাবু জানান, কিছুদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছিল। ঘটনার জেরে বাড়ির দেওয়ালে ঠুকে নিজের মাথা ফাটিয়ে ফেলেন সুমি দে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছিলেন নিতাই দে। তারপর সবকিছু ঠিক ছিল। মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানও একসঙ্গে পালন করেছিলেন বলে দাবি করেন নিতাই দে। কিন্তু আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান সুমি দেবী। নিখোঁজ থাকাকালীন নাকি একবার ছেলেকে ফোন করেছিলেন গৃহবধূ। শুধু মেয়ের খোঁজ নিয়ে ফোন রেখে দেন তিনি। সন্তানদের কথা ভেবে ফিরে আসুক স্ত্রী, এখনও এমনটাই চান নিতাইবাবু ও তাঁর মা।