সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই’ বলে পোস্ট করেছিল এক ব্যক্তি। কিন্তু সেটা যে আদপে একটি ফাঁদ তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তরুণী। আর সেটাই কাল হল। টোপ গিলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, দেখা করার অছিলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শিবলি সাদিক নাইম (৪১)। সে শিল্পনগরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন কারখানায় সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করে। ভুয়ো নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুকে আইডি খুলেছিল নাইম। পাত্রীর সন্ধান চেয়ে করেছিল পোস্টও। সেই ফাঁদেই পা দেন নির্যাতিত তরুণী। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়তে থাকে দুজনের মধ্যে। এর পর হোটেলে দেখা করতে গেলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে শিবলি বলে অভিযোগ। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকা থেকে শিবলিকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতা যাব’, বাবার ‘খুনি’দের শাস্তি চেয়ে জানালেন সাংসদকন্যা]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে, পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান জানান, ধৃত শিবলি ভুয়ো তথ্য দিয়ে ‘আসলাম চৌধুরী’ নামে ফেসবুকে একটি আইডি চালাত। সেখানে নিজেকে পল্লি বিদ্যুতের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিত। আনিসুর জানান, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট মোতাবেক চট্টগ্রাম শহরে শিবলির গাড়ি-বাড়ি আছে। ঠিকানা দেওয়া নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাতিরহাট গ্রামের। কিছুদিন আগে ফেসবুকের ওই আইডি থেকে পাত্রীর খোঁজ করে পোস্ট দেয় শিবলি। তা দেখে ২৭ বছরের এক তরুণী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকদিন কথাবার্তা হয়।
এর পর গত ১৩ মে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার চরপাড়া এলাকায় একটি হোটেলে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করে শিবলি। সেখানে রাতে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করেন শিবলি। পরদিন ওই তরুণীকে ফেলে চলে যায় সে। এ ঘটনায় ১৬ মে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। পুলিশ হোটেলের সিসি ক্যামেরা দেখে শিবলিকে শনাক্ত করে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর অঞ্চল) মাহমুদুল হাসান জানান, ওই তরুণীর কাছে থেকে দুটি মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছিল শিবলি। সেগুলো তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারক শিবলিকে জেলে পাঠানো হয়েছে।