গোবিন্দ রায়: রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সে সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। তা নিয়ে জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই পরিস্থিতিতেই এবার রেলের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। নিয়োগে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে বুধবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হুগলির হরিপালের বাসিন্দা সোনালি সেন নামে জনৈক চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
মামলাকারী সোনালির আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায় জানান, “২০১২ সালের রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন তাঁর মক্কেল। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। রেল থেকে তাঁকে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েতে আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে আবেদনের চার বছর পরেও নিয়োগ হয়নি। তাই ফের তথ্য জানার অধিকার আইনে বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি দেন তিনি। জানতে পারেন, ওয়েটিং লিস্টে তাঁর পরে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকেই নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি। তালিকায় প্রথম দিকে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন নিয়োগ করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ সোনালি। এ নিয়ে রেলের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের শব্দে আপত্তি রাজ্যপালের, ‘নতুন নাটক’, পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের]
এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির পর এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগেও গরমিলের অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছে। ২০১৯ সালে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলিতে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মামলাকারী শান্তনু বসু। যে ১০ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে তাঁর নাম নেই।
তাঁর দাবি, ‘যোগ্যতার বিচারে’ যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন তিনি। এবং শংসাপত্রেও বেশি নম্বর রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে কলেজ সার্ভিস কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে হবে। তাতে বিজ্ঞপ্তি থেকে মেধাতালিকা পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আগামী ২২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।