shono
Advertisement

পরপর দুই মেয়ে জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধ’! বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা

ফেরার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
Posted: 03:15 PM Mar 22, 2022Updated: 03:19 PM Mar 22, 2022

বাবুল হক, মালদহ: নারী দিবসে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বড় বড় পোস্ট। মেয়েদের জয়জয়কার। মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার একের পর এক প্রকল্প আনছে। তার পরেও স্রেফ কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহে (Maldah)। চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। অভিযুক্তরা ফেরার।

Advertisement

সোমবার রাতে মালদহের চাঁচোল থানার চণ্ডীপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম প্রতিমা কর্মকার। চাঁচলের দরিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সাত বছর আগে প্রতিমার সঙ্গে চণ্ডিপুরের বাসিন্দা মনোজ থোকদারের বিয়ে হয়। তার পর কয়েক বছর সব ঠিকঠাক চলছিল। অভিযোগ, দুই কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।

[আরও পড়ুন: ‘আমরা মারিনি, মৌমাছির কামড়ে মারা গিয়েছে’, লকআপে বন্দিমৃত্যু নিয়ে আজব সাফাই বিহার পুলিশের]

প্রতিমার পরিবারের অভিযোগ, দু’টি কন্যাসন্তান জন্মানোর পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতার মা অর্চনা কর্মকারের দাবি, দু’টি কন্যাসন্তান হওয়ার পর থেকেই শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করত। গ্রামের সালিশি সভা বসিয়েও অত্যাচারের মাত্রা একটুও কমেনি।

জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে প্রতিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে মৃতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে খবর। অর্চনা দেবীর দাবি, “আমার মেয়েকে খুন করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ।”

এই ঘটনায় চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফেরার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এদিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে নয়া রেকর্ড! মশার লার্ভা ‘পুষে’ জরিমানা বাবদ কলকাতা পুরসভার আয় তিরিশ লক্ষ টাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার