shono
Advertisement

Breaking News

করোনামুক্ত হওয়ার পর চোখে সমস্যা, এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের মহিলা

বাঁকুড়া মেডিক্যাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে।
Posted: 08:49 PM May 27, 2021Updated: 08:55 PM May 27, 2021

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: এবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে (Asansol) ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’-এর থাবা। রেলশহর চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত বছর চল্লিশের এক মহিলার শরীরে কালো ছত্রাক বা মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) বাসা বেঁধেছে বলে অনুমান আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই মহিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোডাল হাসপাতাল হিসাবে ঠিক করা বাঁকুড়া (Bankura) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মাঝে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হদিশ মেলায় যথেষ্ট চিন্তিত জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। এ নিয়ে রাজ্যে কালো ছত্রাকে সংক্রমিতের সংখ্যা সম্ভবত ১৫।

Advertisement

আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ফতেপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা গত ১৬ মে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিত্তরঞ্জনের কেজি হাসপাতালে ভরতি হন। সেখানে পরীক্ষার পরে জানা যায়, তিনি করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত। মহিলার ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যাও ছিল। ৫ দিন সেখান চিকিৎসার পরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় গত ২১ মে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সুস্থ হওয়ার দিন কয়েক পর থেকে তাঁর চোখের তলায় কালো দাগ দেখা যায়। চোখের ভিতরেও লাল হয়ে যায়। নাকে সমস্যা দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তিনিই অনুমান করেন, মহিলা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে (Black fungus) আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ওই মহিলাকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা প্রায় নিশ্চিত হন যে মহিলার শরীরের কালো ছত্রাক বাসা বেঁধেছে। এরপরই তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।

[আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় অনেকটা কমল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ, মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১২ লক্ষের দোরগোড়ায়]

জেলা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা জনৈক মহিলা করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর কেজি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। পরে তাঁর বাঁ চোখের নিচের অংশে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়। জেলা হাসপাতালে আসার পর বেশ কয়েকজন চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেন। তার উপসর্গ দেখে প্রায় সবাই নিশ্চিত যে মহিলা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত। জেলার CMOH ডাক্তার অশ্বিনী কুমার মাজির বক্তব্য, করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার শারীরিক উপসর্গ দেখে ও জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে অনুমান করছেন তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। তাই কোন ঝুঁকি না নিয়ে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ত্রাণ শিবিরে মিলছে না মাছ-মাংস, তুমুল সংঘর্ষে জখম ৩ আশ্রিত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার