অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দূরত্ব, ভাষা কোনও কিছুই যে ভালবাসার পথে বাধা হতে পারে না, তা ফের প্রমাণিত। স্রেফ প্রেমের টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় (Howrah) এলেন তরুণী। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাংলার প্রেমিকের সঙ্গে।
মেক্সিকো (Mexico) সিটির বাসিন্দা লেসলি। যৌথ পরিবার, পারিবারিক ব্যাবসা নির্মাণ সামগ্রীর। এদিকে হাওড়ার বালির বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পরিবারের সদস্য বলতে বাবা, মা। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। করোনায় (Coronavirus) যখন ঘরবন্দি গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই সময় ক্রমশ দূরত্ব কমেছে দুই প্রান্তে এই তরুণ-তরুণীর। ডেটিং অ্যাপে পরিচয়। ক্রমশ বেড়েছে কথাবার্তা। তবে হ্যাঁ, গোটা বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। কারণ, লেসলি ইংরেজিতে বিশেষ সড়গড় ছিলেন না। তবে তা বাধা হতে পারেনি এক মুহূর্তের জন্যও। ডেটিং অ্যাপে কথা বলতে বলতেই মন দেওয়া নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার, জেলেই প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল যুবক]
বেশ কিছুদিন ফোনেই চলছে প্রেম। স্বাভাবিকভাবেই দেখা করার ইচ্ছে দু’জনেরই। সংবাদ প্রতিদিনকে অরিজিৎ জানান, প্রথমে তারই যাওয়ার কথা ছিল প্রেমিকার দেশে। কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসার জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লেসলি সিদ্ধান্ত নেন তিনিই আসবেন প্রেমিকের শহরে। কিন্তু দেখা তো হয়নি, স্রেফ ফোনের বার্তালাপে সারাজীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া তো মুখের কথা নয়। অরিজিৎ জানিয়েছেন, তাঁরা ঠিক করেছিলেন প্রেমিকা এলে একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন গোটা জীবনের।
২৯ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছন লেসলি। এদিকে হাওড়া থেকে দিল্লি যান অরিজিৎ। সেই প্রথম সাক্ষাত। তারপর বেশ কিছুদিন যুগলে ঘুরেছেন। গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাওড়ার বাড়িতে আসে যুগল। বাবা-মা বরাবরই পাশে ছিল অরিজিতের। ফলে চার হাত এক হতে সময় লাগেনি। গত ১৯ তারিখ আইনি বিবাহ সেরেছেন অরিজিৎ-লেসলি। ৫ জুলাই সামাজিক বিয়ে, কণের সাজে প্রেমিকের গলায় মালা দেবেন মেক্সিকোর তরুণী লেসলি।