অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার আদালত থেকে আবাসনে যাওয়ার পথে হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির শিকার হলেন বিষ্ণুপুর আদালতের এক মহিলা বিচারক। তাও আবার উচ্চ নিরাপত্তায় মুড়ে থাকা জাজেস এনক্লেভের মধ্যে। বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী বিচারককে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য আদালত চত্বরে।
বিষ্ণুপুর আদালতের পাশেই রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট জাজেস এনক্লেভ। সেটাই বিচারকদের আবাসন। ঘটনার রাতে আদালতের মহিলা বিচারক নিজের গাড়ি চালিয়ে আবাসনে ঢোকার মুখেই ২ অচেনা ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় তাঁর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। এবং মহিলা বিচারকের উদ্দেশ্যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বিষাদের সুর আলোর শহর চন্দননগরে! চলে গেলেন আলোকশিল্পী বাবু পাল]
বিচারকের দেহরক্ষী ও আবাসনের নিরাপত্তায় থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের বাধা দেয়। সেই সময় ওই মহিলা বিচারক নিজের মোবাইল থেকে বিষ্ণুপুর থানায় বিষয়টি জানান। বচসা চলাকালীন এক দুষ্কৃতী সেখান থেকে চম্পট দেয়। অন্য একজনকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তার নাম বিজয় ক্ষেত্রপাল।
মহিলা বিচারক বিজয় ও অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। বিজয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘মোটেই সুবিধার লোক না’, অনুপ দত্তকে দুষছেন প্রতিবেশীরাই!]
বিষ্ণুপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রনারায়ণ বিশ্বাস বলেন, "আমাদের আদালতের এক মহিলা বিচারক মঙ্গলবার রাতে নিজের গাড়ি চালিয়ে আবাসনে ঢোকার মুখে ২ ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ওনার গাড়ি আটকে দাঁড়ায়। এর পর তারা মহিলা বিচারককে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অঙ্গভঙ্গি করে শ্লীলতাহানি করে। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষ্ণুপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তে এদিন কোনও আইনজীবী আসামীর পক্ষে জামিনের আবেদন করেননি।" মহিলা বিচারককে হেনস্থার ঘটনা ঘিরে এলাকায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।