সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোশাকে ছাপানো উর্দুর অক্ষর! সেই লেখাকে কোরানের বাণী ভেবে ভুল করে মহিলাকে গণধোলাই দিতে উদ্যত হয় উন্মত্ত জনতা। শেষ পর্যন্ত এক সাহসী মহিলা পুলিশ আধিকারিকের উদ্যোগে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তানের লাহোরের এই ঘটনায় মহিলা পুলিশ আধিকারিক ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক জনতা।
স্বামীর সঙ্গে লাহোরে রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন এক পাক মহিলা। পরনের কুর্তিতে উর্দু ভাষায় কিছু লেখা ছিল। যা দেখে উপস্থিত জনতা ভেবে বসেন, পোশাকের মধ্যে কোরানের বাণী ছাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঈশ্বর তথা ইসলামকে অবমাননার অভিযোগে তাঁকে ঘিরে ফেলে উন্মত্ত জনতা। মারধর করতে উদ্যত হয়। টিক তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন সাহসী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৈয়দা শেহরাবানু নকভি। জনতাকে বুঝিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। থানায় মহিলা জানান, “কারও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। শুধুমাত্র ভালো নকশা দেখেই কুর্তিটা পছন্দ করে কিনেছিলাম।”
[আরও পড়ুন: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি, অশোকনগরে পরিচিতর বাড়িতেই খুন তৃণমূল উপপ্রধান]
এদিকে শেহরাবানু নকভি জানান, স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটি করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁর পরণে ছিল একটি কুর্তি। তার নকশা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়। লোকজন কুর্তিটি খুলে ফেলতে বলেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য় শেহরাবানুর নাম সুপারিশ করেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ। তারা জানিয়েছে, “পুলিশের সাহসিকতার সর্বোচ্চ পুরস্কার কোয়াইদ-ই-আজম পুলিশ মেডেলের জন্য শেহরাবানু নকভির নাম সুপারিশ করেছি।”