সুব্রত বিশ্বাস ও সুরজিৎ দেব: মহিলা কামরায় যুবতীকে ধর্ষণ করে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)কাকদ্বীপ ও নামখানার মাঝের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করল যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বারুইপুর জিআরপি (GRP) দেহটি উদ্ধার করে। জিআরপির অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণ করে ছুঁড়ে ফেলে খুন করা হয়েছে। তাঁর ব্যাগটি পাওয়া গিয়েছে ট্রেন থেকে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। ফের রেলে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
বৃহস্পতিবার সকালে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার কাকদ্বীপ ও নামখানার মাঝে ভুবননগর এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম দেবিকা মাইতি। তাঁর বয়স ১৮ বছর। তিনি নামখানার (Namkhana) বাসিন্দা ছিলেন। কাজ করতেন কাকদ্বীপের একটি শপিং মলে।
[আরও পড়ুন: ২ বছরে কী শিখেছিস? শিক্ষিকা প্রশ্ন করতেই ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে উঠল পড়ুয়া]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কাজ সেরে সাড়ে ন’টা নাগাদ কাকদ্বীপ (Kakdwip) স্টেশন থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। চারদিকে খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে কাকদ্বীপ ও নামখানার মাঝামাঝি ভুবননগর রেললাইনের ধারে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া মৃত যুবতীর মুখচোখ থেঁতলানো ছিল। ফলে তাঁকে শনাক্ত করতে অসুবিধে হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: ধন্যি মেয়ে! ছক ভেঙে ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে গেলেন কনে, ভাইরাল ভিডিও]
দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিখোঁজ দেবিকার পরিবারের লোকজন সেখানে পৌঁছে যান। শনাক্ত করেন নিজেদের মেয়েকে। এই ঘটনায় বারুইপুর জিআরপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতার বাবা দিলীপ মাইতির অভিযোগের ভিত্তিতে বারুইপুর জিআরপি মামলা রুজু করেছে। শিয়ালদহ (Sealdah) রেল পুলিশ সুপার ডিভি চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ”ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি নিয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর মোবাইলটি পাওয়া গিয়েছে রেললাইনের উপর থেকে। তা ক্যামেরা অন করে এমনভাবে রাখা ছিল যে মনে হচ্ছিল, ছবি বা ভিডিও করার চেষ্টা চলেছে। ফলে সেখানেও কোনও রহস্য থাকতে পারি। সব খতিয়ে দেখছি আমরা।”