সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা দিয়েছিল। বলেছিল বিয়ে করবে। কিন্তু সেকথা রাখেনি। এমনই সব অভিযোগ করা হয়েছিল বিচারপতি অরবিন্দ সিং সাঙ্গওয়ানের (Justice Arvind Singh Sangwan) কাছে। কিন্তু কার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ? নাম দেখতেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের (Punjab & Haryana High Court) অভিজ্ঞ বিচারপতিরও চক্ষুজোড়া কপালে ওঠার জোগাড়। এ যে খোদ ব্রিটেনের রাজপুত্র! প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry)। তাঁর বিরুদ্ধেই কথার খেলাপ করার অভিযোগ এনেছেন পাঞ্জাবের তরুণী পলভিন্দর সিং (Palwinder Singh)।
পেশায় আইনজীবী পলভিন্দর। তাই ই-মেল মারফত নিজের অভিযোগ নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দাবি করেছেন ব্রিটেনের রাজপুত্র হ্যারি তাঁকে বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেকথা তিনি রাখেননি। তাই পলভিন্দর চান প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক ব্রিটিশ পুলিশ (United Kingdom Police)। অবিলম্বে সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক। যাতে এদেশে তাড়াতাড়ি বিয়ের বন্দোবস্ত করা যায়।
[আরও পড়ুন: পারমাণবিক চুল্লির ১০ লক্ষ টন জল সমুদ্রে ছাড়বে জাপান, বাড়ছে উদ্বেগ ]
দুই পাতার অভিযোগ খুঁটিয়ে পড়েন বিচারপতি। জানতে চান, আইনজীবী কখনও ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন কিনা। জবাবে পালভিন্দর জানান, তিনি কখনও সেদেশে যাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁর কথা হত। সেই থেকেই প্রেম আর বিয়ের প্রস্তাব। তাঁর এই উত্তরেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয় বিচারপতি অরবিন্দ সিং সাঙ্গওয়ানের কাছে। এরপরই তিনি পালভিন্দরকে জানান, তাঁর অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। যে চ্যাটের ভিত্তিতে তিনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন, তা হয়তো পাঞ্জাবেরই কোনও সাইবার ক্যাফে থেকে করা হয়েছিল। তা ছাড়া পলভিন্দরের করা অভিযোগে অসংখ্য ভুল রয়েছে। সেই কারণেই অভিযোগটি খারিজ করে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অভিনেত্রী মেগান মর্কেলকে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। ২০১৯ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান আর্চির জন্ম হয়। এরপরও আরেকবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন মেগান। কিন্তু তাঁর মিসক্যারেজ হয়। এনিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওপরা উইনফ্রে’র শোতে মেগান জানান, কন্যা সন্তানের জন্ম দিতেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ফের জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি আমেরিকায়, পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ ]