সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে হেরেই ভোলবদল! ২ বছর আগে বিলি করেছিলেন যে কম্বল, তা কেড়ে নিলেন ভোটারদের থেকে। বাংলাদেশের (Bangladesh) এক মহিলা রাজনীতিবিদের কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পদ্মাপাড়ে। যদিও ওই মহিলা নেত্রী কম্বল ফিরিয়ে নেওয়ার কথা মানতে চাননি।
নিন্দুকেরা বলে থাকেন, ভোটে জিততে রাজনীতিবিদরা প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে কচুরি-তরকারি, মাংস-ভাত, নগদ টাকা, এমনকী সুরা পর্যন্ত বিলি করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তাতে নাকি কাজও হয়। তবে কাজ হোক বা না হোক, বিলি করা জিনিস ভোট হারার পর ফেরত নেওয়ার কথা শোনা যায় না। সেই কাণ্ডই ঘটেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় (Tangail District)।
সদ্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে বাংলাদেশে। সোমবার তার ফলাফল বেরিয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী ছিলেন রমেছা খানম। সোমবার নির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায়, হেরে গিয়েছেন রমেছা। এরপরেই তাঁর বিলি করা কম্বল ফেরত নেন তিনি। বছর দুয়েক আগে আকুয়া গ্রামের মকবুল হোসেন, অনু মিঞা, শঙ্কু ও বঙ্কু নামে চারজনকে চারটি কম্বল দিয়েছিলেন নেত্রী। সেই কম্বলেই গত দু’ বছরের হাড় কাঁপানো শীত কাটিয়েছিলেন শঙ্কু-বঙ্কুরা। কিন্তু এবার ভোটে হারতেই ওই চারটি কম্বল ফেরত নেন রমেছা। কেবল ভোটে হারার দুঃখেই কি কম্বল ফেরত নিয়েছেন বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের নেত্রী?
[আরও পড়ুন: কণ্ঠস্থ বিশ্বের সব নদীর নাড়িনক্ষত্র! বিশ্বরেকর্ড গড়ল আট বছরের ভারতীয় খুদে]
আসলে ভোটে হারার পর রমেছা সন্দেহ করছেন, ‘অকৃতজ্ঞ’রা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যোৎস্না বেগমকে জেতানোর জন্য খেটেছেন। কেন? যেহেতু জ্যোৎস্না বেগমের প্রতিবেশী মকবুল হোসেন, অনু মিঞা, শঙ্কু ও বঙ্কু। এই রাগেই ২ বছর আগে বিলানো কম্বল ফিরিয়ে নিয়েছেন রমেছা।
তবে কম্বল ফেরত নেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি রমেছা। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা ছড়ানো হচ্ছে। এসবই বিরোধীদের অপপ্রচার।”
[আরও পড়ুন: সিনেমার চিত্রনাট্যও হার মানবে! স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে লাহোরের যুবককে বিয়ে কলকাতার তরুণীর]
শীতের সম্বল হারানো ভুক্তভোগীরা অবশ্য সেকথা মানতে নারাজ। আনু মিঞা বলেন, “যে কাজ রমেছা খানম করলেন, তা এলাকাবাসী দেখলেন। গরিবদের প্রতি তাঁর অবিচার আগেও ছিল।”