সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়ের মাঝেই ফের নারী নিরাপত্তা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি তোলেন, অন্যান্য যে কোনও রাজ্যের তুলনায় বাংলার নারীরা অনেক বেশি সুরক্ষিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা বলেই তাঁর বাড়তি নজর নারী নিরাপত্তায় (Women security)। তাঁর কথায়, ”এমন ঘটনা খুবই খারাপ। একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। কেউ এমনটা চায় না। তবে দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে গেলে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করা কাম্য নয়।”
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্তব্য করেন, “সকলেই চিন্তিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে। এখানে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সে রাজ্যে একটা ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার। আমি আশা করি, পুলিশ প্রশাসন সেদিকে নজর রাখবে।” এর আগে সোমবার মিলন মেলার নতুন প্রাঙ্গনের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। বিরোধীরা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘১৫ বছরের মধ্যেই অখণ্ড ভারতের স্বপ্নপূরণ, বাধা দিলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে’, হুঙ্কার RSS প্রধানের]
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ”ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রং না দেখে গ্রেপ্তার করতে বলেছেন। ওঁর কী করার ছিল আর? মহিলা কিংবা পুরুষ মুখ্যমন্ত্রীর কথা উল্লেখযোগ্য নয় এখানে।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”বাংলা ভাল আছে। কোনও সামাজিক ব্যাধি থেকে দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে পুলিশ তার যথাযথ পদক্ষেপ করছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা উচিত নয়। তিনি বারবার এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।’’
[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা, চাঞ্চল্য ডায়মন্ড হারবারে]
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে এসেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তাঁরও বক্তব্য, ”পুরুষ বা মহিলা নন, কোনও রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীই চান না, তাঁর শাসনকালে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটুক। যা নিয়ে এত বিতর্ক, সমালোচনা, তা অত্যন্ত দুঃখের, লজ্জার। কিন্তু তার জন্য মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা ঠিক নয়। এমন ঘটনা কোথাও কখনও না ঘটুক, সেটা অভিপ্রেত।”