Abu Dhabi Drone Attack: আবু ধাবিতে ড্রোন হামলা ইয়েমেনের, মৃত দুই ভারতীয়-সহ ৩

05:35 PM Jan 17, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতে (Abu Dhabi Blast) জোড়া হামলা চালাল ইরান-ইয়েমেন মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী। ড্রোন হামলায় (Drone Attack) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’ জন ভারতীয় বলে খবর। অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন আরও ছ’জন। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী হাউথি (Houthi Movement)।

Advertisement

আমিরশাহীর বৈদেশিক কূটনীতি এবং সরকারের কৌশল নির্ধারিত হয় এই আবু ধাবি থেকে। সেই নিরিখে দেখতে গেলে আমিরশাহীর গুরুত্বপূর্ণ শহর আবু ধাবি। সোমবার এই শহরকেই নিশানা করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহকারী তেলের তিনটি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। আবার আরেকটি বিস্ফোরণে বিমানবন্দরের ভিতরে নির্মীয়মান একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে যায়। ড্রোন হামলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: মেট্রোয় করোনা সচেতনতায় বিশেষ উদ্যোগ, মুখে মাস্ক পরে হাজির উত্তমকুমার-সন্তোষ দত্ত!]

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিমান ওঠানামায় কোনও ক্ষতি হয়নি।এদিকে ট্যাঙ্কারের বিধ্বংসী আগুনও আপাতত নিয়ন্ত্রণে।নাশকতামূলক কার্যকলাপের দায় নিয়েছে ইয়েমেন মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী হাউথি। এদিকে তদন্ত শুরু করেছে আমিরশাহীর পুলিশ। তাদের দাবি, উড়ন্ত কোনও বিস্ফোরক ট্যাঙ্কার এবং বিমানবন্দরে পড়েছিল। তার জেরেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন ধরে যায়। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমেই হামলা চালানো হয়েছে। 

Advertising
Advertising

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর একইভাবে আমিরশাহীর দু’টি তেলের খনিতে হামলা চালিয়েছিল এই হাউথি গোষ্ঠী। যার জেরে দু’দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শুরু থেকেই আমিরশাহী এবং ইয়েমেনের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে।

[আরও পড়ুন: সিঁথিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সাত সন্তান, ধ্বংসস্তূপে মরিয়া হয়ে খুঁজছে মা সারমেয়]

কিন্তু কেন?

সৌদি আরবপন্থী জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আমিরশাহী। যারা ইরান মদতপুষ্ট হাউথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হাউথিরা ইয়েমেনের রাজধানী দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে। সেই সময় থেকেই হাউথিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে আমিরশাহী। হাউথিদের এই হামলার পর সেই সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Advertisement
Next