সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ বছরের হাজতবাস। মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed)এমনই সাজা দেওয়া হল। একইসঙ্গে, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ারের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের বিশেষ সন্ত্রাসদমন আদালত।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভিড়ে ঠাসা স্টেশনে আছড়ে পড়ল রুশ রকেট! মৃত অন্তত ৩৫, আহত শতাধিক]
জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের দু’টি মামলায় হাফিজ সইদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদলত। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা সইদকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জরিমানাও করেন বিচারক। সূত্রের খবর, হাফিজের তৈরি একটি মাদ্রাসা ও মসজিদেরও দখল নেবে প্রশাসন। বলে রাখা ভাল, এর আগে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবাদের একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় হাফিজ। সেবার ১৫ বছরের জেলের সাজাও দেওয়া হয় আইএসআইয়ের আস্থাভাজন ওই জঙ্গিনেতাকে। তবে আদালত সাজা দিলেও একঅর্থে পাকিস্তানে ‘মুক্ত বিচরণ’ করেছে রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ। একাধিক জনসভায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণও দিতে শোনা যায় তাকে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমেরিকা সফরের কয়েকদিন আগেই হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। লস্কর প্রধানের গ্রেপ্তারির খবর টুইট করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু গোটা ঘটনাবলি যে আসলে পাকিস্তানের কৌশল তা স্পষ্ট হয়ে যায় কয়েকদিনের মধ্যেই। অবাধে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে দেখা যায় তাকে।
উল্লেখ্য, গতবছর ‘গ্লোবাল জেহাদি’ হাফিজ সইদের লাহোরের বাড়ির সামনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজ সইদের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে বেশ কয়েকবছরের জেল হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘জামাদ-উদ-দাওয়া’ প্রধানের। বর্তমানে পাকিস্তানের কোট লখপত জেলে হাফিজ রয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের। কিন্তু সে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় হাফিজ নিজের বাড়িতেই ছিল। এদিন সাজা ঘোষণা হলেও সেই সাজা যে কার্যকরী হবেই তা নিয়ে সংশয় ছিল।