সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজার মাটিতে ইজরায়েল সেনার বেলাগাম হামলায় মৃত্যু হল ৫ সাংবাদিকের। মৃত ওই ৫ সাংবাদিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। অবশ্য এই হামলার দায় অস্বীকার করেনি ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। বরং তাদের দাবি, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন হামাস সদস্য।
গাজা দখলের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যেই সে পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার তরফে। এরপরই হামলার ঝাঁজ আরও বেড়েছে ধ্বংসপুরী গাজায়। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের মূল দরজার বাইরে সংবাদ কর্মীদের একটি অস্থায়ী তাবু ছিল। সেখানেই হামলা চালায় ইজরায়েল সেনা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৭ জনের। তারমধ্যে ৫ জন তাদের সংস্থায় কর্মররত সাংবাদিক। তাঁরা হলেন, সাংবাদিক আনাস আল শরিফ, মহম্মদ কেরিকেহ। এছাড়া চিত্র সাংবাদিক ইব্রাহিম জহির, মোমেন আলিওয়া ও মহম্মদ নওফাল।
ইজরায়েলের হামলায় মৃত ৫ সাংবাদিক।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই পালটা বিবৃতি দেওয়া হয় ইজরায়েল সেনার তরফে। যেখানে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে আনাস আল শরিফ হামাসের একটি সন্ত্রাসবাদী সেলের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিল। যার জেরেই তাঁকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে মৃত্যুর ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে গাজায় ইজরায়েলি বোমা হামলার খবর প্রকাশ করেন শরিফ। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাতের আকাশে মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, এই পোস্টটি শরিফের কোনও বন্ধু পোস্ট করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেই তা শেয়ার করা হয়। বোমা বিস্ফোরণের ভিডিওর পাশাপাশি পোস্টে লেখা, "যদি আমার এই বার্তা আপনাদের কাছে পৌঁছায়, তাহলে জেনে রাখুন ইজরায়েল আমাকে হত্যা করতে এবং আমার কণ্ঠস্বর দমন করতে সফল হয়েছে।"
