সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের জেহাদিদের খতম তালিকায় টিকাকর্মীরা! এক টিকাকরণ শিবিরের কাছে মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭। মৃতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ স্কুল পড়ুয়াও। কয়েক বছর ধরেই সন্ত্রাসবাদী হামলা ও অন্ধবিশ্বাসের ফলে পাকিস্তানে পোলিও কর্মসূচি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আল জাজিরা সূত্রে খবর, শুক্রবার পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ প্রদেশ বালোচিস্তানের মাসতাং এলাকার একটি স্কুলে টিকাকরণ চলছিল। পোলিও খেতে এসেছিল ছোট ছোট অনেক শিশু। ওই স্কুলের পাশের রাস্তাতেই একটি মোটরসাইকেল রাখা ছিল। তাতেই ছিল বিস্ফোরক। দূর থেকে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি স্কুল ভ্যান। এক পুলিশ আধিকারিক ও দোকানদার-সহ মৃত্যু হয় ৭ জনের। এদের মধ্যে পাঁচ স্কুলও পড়ুয়া রয়েছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২২।
পুলিশ জানিয়েছে, টিকা দেওয়ার জন্য কর্মীদের আনতে যাচ্ছিল একটি পুলিশ ভ্যান। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পুলিশ ও টিকাকর্মীরাই টার্গেট ছিল জঙ্গিদের। তাই পুলিশের গাড়িটি ওই রাস্তায় আসতেই বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু সামান্য ক্ষতি হলেও সেটি বেঁচে যায়। বিস্ফোরণে উড়ে যায় স্কুলভ্যানটি। এনিয়ে পাক পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক নঈম বাজাই জানান, মনে করা হচ্ছে, মোটরসাইকেলে আইইডি রাখা ছিল। দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।
উল্লেখ্য, পোলিও কর্মসূচি চলাকালীন পাকিস্তানে এহেন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে একাধিকবার টিকাকরণ শিবিরে হামলা চালিয়েছে জেহাদিরা। বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এদিনের হামলার নেপথ্যে হাত থাকতে পারে তেহরিক-ই-তালিবানের মতো জঙ্গি সংগঠনের। কারণ তারা মনে করে, পোলিও টিকাকরণ নাকি ‘ইসলামে নিষিদ্ধ’। এদিকে, পাকিস্তানে মাথাচারা দিয়েছে পোলিও। কিন্তু জেহাদিদের হামলার কারণে শত চেষ্টা সত্ত্বেও পোলিও নির্মূল করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।