সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন ভারতীয়রা। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের একদল তরুণ পর্যটক ভারত সরকারের কাছে অভিযোগ জানাল, তাঁরা রাশিয়ায় বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন মোদি সরকারের।
১০৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওই সাত পাঞ্জাবি। তাঁদের পরনে সেনার শীতকালীন জ্যাকেট ও হুড অথবা স্কাল ক্যাপ। একটি ছোট্ট ঘরের ভিতরে তাঁরা দাঁড়িয়ে। ঘরের একপ্রান্তে একটি মাত্র জানলা। ওই পাঞ্জাবি পর্যটকদের অন্যতম গগনদীপ সিং জানিয়েছেন, গত ২৭ ডিসেম্বর তাঁরা রাশিয়ায় আসেন। তাঁদের ভিসা ছিল ৯০ দিনের। সেখান থেকে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের এজেন্ট চম্পট দিলে কার্যতই অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, পুলিশ ওই পর্যটকদের গ্রেপ্তার করে জোর করে নথিতে সই করতে বাধ্য করা হয়। গগনদীপের কথায়, ”এখন ওরা (রাশিয়া) আমাদের বাধ্য করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে।”
[আরও পড়ুন: খেসারত দিতে হবে ৩ কোটি টাকা! পাকিস্তান থেকে সীমা হায়দরকে আইনি নোটিস প্রাক্তন স্বামীর]
ইতিমধ্যেই গগনদীপের পরিবার বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে। তাঁর ভাই অমৃত সিংয়ের অভিযোগ, আটকে থাকা পাঞ্জাবি যুবদকের বাধ্য করা হচ্ছে যুদ্ধে নামতে। এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে না গেলেও শিগগিরি তাঁদের সরাসরি লড়াই করতে বাধ্য করা হবে বলেই দাবি অমৃতের। বলা হচ্ছে, ওই যুবকদের মাত্র ১৫ দিনের সেনা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর তার পরই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে।
কয়েকদিন আগেই জানা যায়, ভালো কাজের সন্ধানে রাশিয়ায় (Russia) গিয়ে এখনও আটকে রয়েছেন ২০ জনেরও বেশি ভারতীয়। তাঁদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেই জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এর মধ্যেই সামনে এল এই ঘটনা।