সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনিভাবে সোনার খনিতে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েন ৮ পরিযায়ী শ্রমিক। পাঁচদিন আগে আটকে পড়ার খবর মিললেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে উদ্ধারকাজ চলার পরে প্রশাসনের তরফে জানানো হল, আটকে পড়া শ্রমিকদের আর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নেই। তাঁদের মৃতদেহও আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভা দ্বীপের এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সোনার খনির নিরাপত্তা নিয়ে। কীভাবে দিনের পর দিন অনুমতি ছাড়াই সোনার খনি চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম জাভা (Java) থেকে কাজের সন্ধানে বানিউমাস এলাকায় গিয়েছিলেন আট শ্রমিক। মধ্য জাভার এই এলাকায় অবৈধ সোনার খনিতে কাজ নেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে কাজ করতে নেমেই খনির তলায় আটকে পড়েন। মাটি থেকে ২০০ ফুট গভীরে কাজ করার সময়েই বিপত্তি ঘটে। উদ্ধারকারীদের অনুমান, কাজ করার সময়ে খনিতে জল ঢুকে যায়। ফলে মাটির তলায় আটকে পড়েন আট শ্রমিক।
[আরও পড়ুন: ‘কত রান করেছিল আপনার ছেলে?’ পরিবারতন্ত্র নিয়ে শাহকে পালটা দিলেন স্ট্যালিনের ছেলে]
খবর পেয়েই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। খনির মধ্যে ঢুকে পড়া জল বের করার জন্য বেশ কয়েকটি পাম্প বসানো হয়। খনির মধ্যে জমে থাকা জল নদীপথে বের করে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু খনির এলাকা অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ার কারণে কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। টানা পাঁচদিন ধরে উদ্ধারকাজ চলার পরেও আট শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি। খনিতে এখনও জল জমে রয়েছে বলেই অনুমান। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
যদিও আটকে পড়া শ্রমিকদের মৃতদেহের খোঁজে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, অনুমতি ছাড়াই কী করে সোনার খনি চালানো হচ্ছিল? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চারজনকে অবৈধ খনি চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এর আগেও ইন্দোনেশিয়ার অবৈধ খনিতে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক।