সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ডিজিটাল মাধ্যমে বইমেলা আয়োজন করে পথ দেখিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট (Frankfurt)। এবার সেই বইমেলার একটা বড় অংশ হিসেবে জুড়ে গেল ভারত। রবিবার বইমেলার শেষদিন একাধিক বিভাগে পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠান ছিল। বাকি মেলাটি ডিজিটাল মাধ্যমে হলেও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি হয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিখ্যাত পাউল গির্জায়। আর সেখানে এবছর শান্তি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণা হল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, বঙ্গসন্তান অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে এমন সম্মানীয় পুরস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি।
১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর, করোনা আবহেও ক্যালেন্ডার মেনে এই পাঁচদিন ধরে ডিজিটাল মাধ্যমে চলেছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা। ঘোষণা করা হয়েছিল, শেষদিন পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠান হবে গির্জায়, সীমিত সংখ্যক অতিথি নিয়ে। হলও তেমনটাই। অনুষ্ঠানে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টাইনমারের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তিনি থাকতে পারেননি। রবিবারের অনুষ্ঠানে তাঁর বার্তা পড়ে শোনান বিখ্যাত অভিনেতা ক্লসনার। শান্তিপ্রাপক হিসেবে অমর্ত্য সেনের নাম ঘোষণা করার আগে তিনি জানান, এবার এই বিশেষ পুরস্কার ইউরোপ মহাদেশের বাইরের একজন পাচ্ছেন, যা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে আটকে বাবা-মা, অনাথ কয়েক হাজার উইঘুর শিশু]
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে বরাবর সরব। নির্দিষ্ট বিষয় অর্থনীতি ছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ একাধিক বিষয়ে বাঙালি নোবেলজয়ীর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা আছে। সেসব দিক মাথায় রেখেই তাঁকে এবছর শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা কর্তৃপক্ষ। ১৯৫০ সাল থেকে এই শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়ে আসছে। এর আগে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এর প্রাপক হলেও, ভারতীয়দের ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিল তা। নোবেলজয়ী বঙ্গসন্তান অমর্ত্য সেনের হাত ধরে সেই স্বাদ পেল ভারত। আবারও জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠল ভারতের মাথায়। রবিবার তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গির্জার অডিটোরিয়ামে উপস্থিত সকলে করতালিতে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। ভূয়সী প্রশংসা করেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট নিজে।