সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাকিস্তানকে বাঁচাতে’ একজোট ভুট্টো-শরিফরা। সেদেশের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা মেলেনি কোনও দলেরই। এমতাবস্থায় দেশের রাজনৈতিক সংকট কাটানোর শপথ নিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ। রবিবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরেই বৈঠকে বসেন দুই দলের প্রধান।
২৬৫ আসনের পাকিস্তান (Pakistan) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। কিন্তু গণনার শেষে ১০১টি আসন জিতেছে ইমরান খানের দল পিটিআই ও তাদের সমর্থিত নির্দলরা। অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) পিএমএল-এন ৭৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিলাওয়াল ভুট্টোর (Bilawal Bhutto Zaradri) দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। কিন্তু এই দুই দল জোট বাঁধলেও ৬টি আসন কম পড়ছে। ফলে অন্যান্যদের সঙ্গে জোট বেঁধে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে মরিয়া দুই শিবিরই।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবেই ভারত, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দাবি জয়শংকরের]
এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার বৈঠকে বসেন আসিফ আলি জারদারি (Asif Ali Zardari) , বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিন নেতার বৈঠকের পরে ভুট্টোর দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নেতাদের মধ্যে। আগামী দিনে কীভাবে দুই দল একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই নিয়েও কথা হয়েছে বিশদে। দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি দুই দলের নেতৃত্বই।”
এই বিবৃতিতেই উঠে এসেছে পাকিস্তানকে ‘বাঁচানো’র প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, “রাজনৈতিক সংকট থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে হবে। দলীয় সদস্যদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এই প্রসঙ্গে। দেশের অধিকাংশ মানুষ আমাদের আদেশ দিয়েছেন, তাঁদের নিরাশ করব না।” তবে দুই দল জোট বাঁধলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখনও অধরাই। ফলে অন্যান্য জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ভুট্টোর দল। কিন্তু পিপিপি-পিএমএল(এন) জোটকে কারা সমর্থন দেবে, সেটা এখনও অনিশ্চিত।