সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে ঘুমের মাঝেই ভয়ংকর হামলা। আকাশপথে ইউক্রেনের (Ukrain) উপর বড়সড় হামলা চালাল রাশিয়া। মৃত্যু হয়েছে চার শিশু-সহ অন্তত ২৫ জন। বলা হচ্ছে, গত ২ মাসের মধ্যে এটাই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার (Russia)সবচেয়ে বড় হামলা। কিয়েভ সূত্রে খবর, শুক্রবার মাঝরাতে রুশ বিমান হামলায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে দেশের মধ্যভাগের উমান শহর। রাতের ঘুম ভেঙে তড়িঘড়ি আগুন নেভাতে ছোটেন দমকলকর্মীরা। ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়।
শুক্রবার মধ্যরাত। গোটা ইউক্রেন তখন ঘুমের দেশে। ঠিক সেসময়ই হামলা চালাল শত্রুদেশ। গত ২ মাসে এমন ভয়াবহ হামলা ঘটেনি বলেই দাবি কিয়েভের (Kyiv)। একটি বড় আবাসনের ছাদে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র (Missile)। ২৭টি ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। চার শিশু-সহ প্রথমে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫। এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় হামলা চলছিল কিয়েভে। কিন্তু ছোটখাটো হামলা বলে উপেক্ষা করা হয়েছে। কে-ই বা ভেবেছিল মাঝরাতে এমন অভিশাপ নেমে আসবে?
[আরও পড়ুন: ‘কুণাল ঘোষকে প্রণাম, ভবিষ্যদ্বাণী মিলেছে’, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
বছর আটান্নর সেরহি লুবিভস্কি বলছেন, “আমার প্রতিবেশীরা সবাই চলে গিয়েছেন। কেউ নেই। আটতলা, ন’তলা, দশতলার সকলেই চলে গিয়েছেন।” এটুকু বলেই হাঁউহাঁউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। রুশ হামলার তীব্র নিন্দা করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। তাঁর কথায়, ”রাশিয়া যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা কাপুরুষোচিত। আবহাওয়া অনুকূল হলে আমাদের কমান্ডাররা এর প্রত্যুত্তর দেবেন। এখন শুধু ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।”
[আরও পড়ুন: বিছানার হারানো উষ্ণতা ফেরাবে ‘তিন মিনিটের খেলা’, পার্টনারকে খুশি করতে জেনে রাখা জরুরি]
একবছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্য়ে চলছে যুদ্ধ। রাশিয়ার তুলনায় ঢের ছোট ইউক্রেনের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। তবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। রাশিয়া, সাইবেরিয়ার কনকনে ঠান্ডায় এতদিন ঢিমেতালে চলছিল যুদ্ধ। কিন্তু শীত কেটে বসন্ত আসতেই ফের যুদ্ধের গতি বেড়েছে। ফের বড়সড় হামলার পথে হাঁটছে মস্কো। তবে এবার ইউক্রেনও পালটা প্রস্তুত। ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে তাদের। ফলে মাঝরাতে রুশ বিমান হামলার পালটা দিতে তারাও যে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়।