সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তি আরও বাড়ল পিএনবি-র ঋণখেলাপি, পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির। বেলজিয়ামের আদালত জানিয়ে দিল যে অপরাধের অভিযোগ ওঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, সেগুলি প্রমাণিত হলে বেলজিয়ামের আইন মোতাবেকও তিনি শাস্তিযোগ্য। কয়েকদিন আগেই সেদেশের আদালত জানিয়ে দিয়েছিল চোকসিকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণে কোনও বাধা নেই।
আদালতের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, '২০১৬ সালের শেষ থেকে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ভারতে এই অভিযোগগুলি সংঘটিত হয়েছে। বেলজিয়ামে এই অপরাধগুলির জন্য এক বছরের বেশি কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে, যেমনটি বেলজিয়ামের ফৌজদারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।' তবে, সমস্ত অভিযোগ স্বীকৃত নয় বলেই জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের এই হিরে ব্যবসায়ী ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে পালান। সেই সময় দেশ ছাড়েন আরেক ঋণখেলাপী তাঁরই ভাইপো নীরব মোদীও। পরে জানা যায়, চোক্সি আস্তানা গেড়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জে। রয়েছেন অ্যান্টিগা ও বারমুডায়। জানা যায়, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই নাকি আস্তানা গেড়েছেন মেহুল চোকসি। সেখানে বারবার চোকসি জানান, তিনি আর ভারতীয় নন, অ্যান্টিগার নাগরিক। কিন্তু এদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েননি। ফলে নিয়ম মেনেই বিদেশ থেকে তাঁকে প্রত্যর্পণে পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। ২০২৪ সালে সিবিআই জানতে পারে, চোকসি বেলজিয়ামে গা ঢাকা দিয়েছেন। তখনই বেলজিয়াম সরকারের কাছে প্রত্যর্পণের আর্জি জানানো হয়। সেখানকার আদালতের নির্দেশে এপ্রিল মাসে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন প্রতারক হিরে ব্যবসায়ী। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আর এবার বেলজিয়ামের আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের তরফে আসা প্রত্যর্পণের আর্জি বৈধ। চোকসিকে তুলে দিতে হবে ভারতের হাতে। তবে বেলজিয়ামের আইন অনুযায়ী, আইনি সহায়তা পাবেন তিনি।
