shono
Advertisement

ইস্তানবুল বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীরা, গৃহযুদ্ধের দামামা তুরস্কে!

ইস্তানবুলের বাতাসে এখনও ভাসছে বারুদের গন্ধ।
Posted: 02:43 PM Nov 14, 2022Updated: 03:23 PM Nov 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্তানবুলের বাতাসে এখনও ভাসছে বারুদের গন্ধ। আতঙ্কিত বসফরাস তীরের বাসিন্দারা। রবিবারের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। ওই হামলার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এরদোগান প্রশাসনের একাংশ এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীদের হাত দেখছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নতুন মাত্রা পেল কুর্দিস্তান আন্দোলন? এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে চলেছে তুরস্ক?

Advertisement

গতকাল জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তানবুল (Istanbul)। তারপরই দেশজুড়ে হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে উদ্ধৃত করে আনদলৌ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মূল হামলাকারীও রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেই বিস্ফোরক রেখে আসে। সোয়লু বলেন, “আমাদের কাছে থাকা তথ্য মোতাবেক, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিকেকে) নামের একটি কুর্দ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।” এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানও ইঙ্গিতে কুর্দদেরই দায়ী করেছেন। 

[আরও পড়ুন: তুরস্কের ব্যস্ত রাস্তায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত চার, আহত বহু]

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিস্ফোরণের জবাব দিতে এবার পিকেকে-র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোগান। আর তেমনটা হলে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কুর্দরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দ। ফলে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হবে দেশটিতে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই এরদোগানের (Recep Tayyip Erdogan) বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ইস্তানবুলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেকে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

বলে রাখা ভাল, আশির দশকে তুরস্কে ‘স্বাধীন কুর্দিস্তান’ গঠনের দাবি জোরালো হয়। তখনই আত্মপ্রকাশ করে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (PKK)। বামপন্থী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ দলের চেয়ারম্যান আবদুল্লা অকালানের নেতৃত্বে প্রথমবার জনজাতি বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ কুর্দদের মনে জায়গা করে নেয় পিকেকে। তুরস্কের সরকার, জমিদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তারা। ওঠে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়ে তোলার দাবি। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিকবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে কুর্দরা। তাঁদের স্লোগান “Êdî Bese”। বাংলায় ভাবানুবাদ করলে যা দাঁড়ায় ‘আর নয়’। সবমিলিয়ে, কুর্দ বিদ্রোহ এবার নতুন রূপ নিয়েছে বলেই ধারণা।

[আরও পড়ুন: আমেরিকার আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ! টুকরো হয়ে আছড়ে পড়ল, ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement