সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকাকরণ (Vaccination) ও করোনা বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুটছে কানাডা (Canada)। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। অনেক চেষ্টাতেও স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এই অবস্থায় প্রতিবাদীদের থামাতে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। কয়েক দিন আগেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আন্দোলন রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন তিনি। অবশেষে সোমবার জরুরি ক্ষমতা ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনার টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল কানাডা। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনরত হাজার হাজার ট্রাকচালক। সীমান্তে দিয়ে চলাচল করা ট্রাকগুলির চালকদেরও টিকাকরণে বাধ্য করছে কানাডা সরকার, এমন অভিযোগে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। রাজধানী অটোয়ায় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও ‘গোপন’ আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাজার চেষ্টা সত্বেও সেই বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
[আরও পড়ুন: ভালবাসার দিনে কনের সাজে দেবলীনা, ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী?]
এই সমস্যার সমাধানে আগেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেহাদ্র মায়োরকাস ও ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি পিট বুত্তিজিয়েগ। তাঁদের বক্তব্য, “ফেডারেল আইন ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করুন কানাডা সরকার।” উল্লেখ্য, ডেট্রয়েট নদীর উপর রয়েছে ‘অ্যাম্বাসাডর ব্রিজ’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রদেশের ডেট্রয়েট শহরের সঙ্গে কানাডার ওন্টারিও প্রদেশ সংযোগ স্থাপন করে সেতুটি। ফলে ডেট্রয়েট শহরের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আসে ওই পথেই। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে গাড়ি উৎপাদন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার কানাডা সরকারের কাছে ফেডারেল আইন চালু করে বিক্ষোভ দমনের আবেদন জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, এই বিক্ষোভকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন কানাডার একাধিক মন্ত্রী। এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে পদক্ষেপ করলেন ট্রুডো।
