সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সাত সকালে গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙেছিল আফগানিস্তানের ঘজনিবাসীর। বেলা বাড়তেই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী। আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হল ২৬ জন নিরাপত্তারক্ষীর। জখম কমপক্ষে ১৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক কালে আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর এরকম ভয়ংকর হামলা হয়নি। এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, হামলার পিছনে তালিবানদের হাত রয়েছে।
[আরও পড়ুন : জালিয়াতি হয়নি! ফেডেরাল আদালতে আরজি খারিজ, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের]
ঘজনির পূর্ব প্রান্ত বরাবরাই উত্তপ্ত। এই এলাকায় আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে তালিবানদের নিরন্তর অশান্তি চলছে। এদিনও এই এলাকার একটি জন নিরাপত্তা কেন্দ্রে হামলা হয়। ওই চত্বরের তিন নম্বর ইউনিটে আচমকা একটি গাড়িতে বিস্ফেরণ ঘটে। গাড়িটি আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল বলে একটি সূত্রের দাবি। এদিন সকালে ওই কেন্দ্রে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই চলছিল বলেও খবর।
অনেকেই আবার বলছেন, এটি আত্মঘাতী হামলা। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে আফগান বাহিনীর কয়েকজন কমান্ডো হাজির ছিলেন বলে খবর। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ঘজনি হাসপাতালের ডিরেক্টর বাজ মহম্মদ হেমাত জানান, “২৬টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৭ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য।
[আরও পড়ুন : করোনার ভয়ে কাঁপছেন কিম জং, সংক্রমণ রুখতে ফের মানুষ খুন উত্তর কোরিয়ায়!]
উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচদিন আগে জোড়া বিস্ফোরণ হয় আফগানিস্তানে। সেই হামলায় ১৪ জনের মৃত্যুও হয়। বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবান ও আফগান সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। প্রায় দু’দশক ধরে চলা যুদ্ধের পর বিগত কয়েকমাসে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে আসে তালিবান। গত জানুয়ারি মাসে দু’পক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপরই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কথা ঘোষণা করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।