সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নো মোর।’ পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ আর বরদাস্ত নয়। পহেলগাঁও হামলার বদলা নিয়ে শতাধিক কুখ্যাত জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। ভারতের মেয়েদের সিঁদুর মুছলে কী হাল হয় তা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তান। তাই তো দিল্লির কাছে হামলা থামানোর মিনতি আর্জি জানায় ইসলামাবাদ। এবার এনিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তাঁর কথায়, সংঘর্ষবিরতিই রক্ষা করেছে পাকিস্তানকে। না হলে ভারতের আক্রমণে গুঁড়িয়ে যেত তারা।
গত ৬ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে লস্কর-ই-তইবার, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি ধবংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ভারতে হামলার ব্যর্থ চেষ্টা করে পাক সেনা। ৯ মে রাতভর তাদের ড্রোন হামলা প্রতিহত করে ভারত। এরপর ১০ মে অপারেশন সিঁদুরের পালটা ‘বুনইয়ান উল মারসুস’-এর ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। যা ভারতীয় সেনার শক্তির কাছে টিকতে পারেনি। এনিয়ে আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, "রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতির কোনও পরোয়া করেনি ভারত। অপারেশন সিঁদুর আত্মবিশ্বাস এবং প্রকৃত কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব প্রদর্শন করেছে। ভারত এই ধারণাটি ভেঙে দিয়েছে যে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের থেকে আলাদা। তাই তারা উভয়কেই টার্গেট করেছিল।"
ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। পাকিস্তানকে এক মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৫০০ কোটি) দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে সালেহ বলেন, "এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত। একটি যুদ্ধের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। সেই সময়ই পাকিস্তান আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের চায়। আর যা আশ্চর্যজনকভাবে তা অনুমোদনও করা হয়।" পহেলগাঁও হামলা নিয়ে তিনি বলেন, "ধৈর্যের আর সংযমের একটা সীমা আছে। ২২শে এপ্রিল লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসীরা সেই সীমা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হামলা থেকে তাদের কোনও লাভ হয়নি। তারা ভারতকে প্রকাশ্যে অপমান করতে চেয়েছিল। ২০০৮ সাল পাকিস্তান মানসিকভাবে ধুঁকছে।"
অপারেশন সিঁদুরের পর দিশাহারা পরিস্থিতিতে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছিল আফগানিস্তানেও হামলা চালিয়েছে ভারত। সেই দাবি নস্যাৎ করে বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি জানিয়ে দেন, ভারতের কোনও মিসাইল আফগানিস্তানে আছড়ে পড়েনি। আফগান নাগরিকরা যেন না ভোলেন যে কোন দেশ সেখানকার নাগরিকদের উপরে হামলা চালায়। পাকিস্তানের ভারতকে বিভক্ত করার মতলব ব্যর্থ হবেই। পাকিস্তানের মিথ্যে অপপ্রচারে কান দেবেন না।
