সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মায়ানমারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। তবে ভোটে লড়ছে না নোবেলজয়ী অং সান সু চির সরকার। গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত মায়ানমারে শেষ প্রথম পর্বের ভোটের গণনা। মায়ানমারের প্রভাবশালী সামরিক-পন্থী দল নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিপুল জয় পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) তরফে জানানো হয়েছে, "আমরা টাউনশিপে যেগুলোর গণনা শেষ হয়েছে সেখানে ১০২টি মধ্যে ৮২টি নিম্নকক্ষের আসন জিতেছি।" এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, সামরিক বাহিনীর অসামরিক প্রতিনিধি এই দল রবিবারের ভোটে নিম্নকক্ষের আসনের ৮০ শতাংশেরও বেশি দখল করেছে।
জানা গিয়েছে, ইউএসডিপি, মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোর আটটি টাউনশিপের সবকটিতেই জয়লাভ করেছে। যদিও, এই ফলাফল এখনই সামনে আসার কথা নয়, কারণ এখনও দুই পর্বের নির্বাচন বাকি।
২০২০ সালের শেষ নির্বাচনে, ইউএসডিপি পরাজিত হয় আং সান সু চি-র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র কাছে। যদিও ২০২১ সালের সামরিক কু-র পরে এই সরকার ভেঙে যায়। অবলুপ্ত হয় তাঁর দল। রবিবার ভোটের পর, সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, অসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সশস্ত্র বাহিনীর বিশ্বাস রাখতে হবে যে তাঁরা এই কাজ করবে। -গত পাঁচ বছর ধরে সামরিক শাসন চালাচ্ছেন মিন।
তিনি বলেন, "আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "এই ভোট সামরিক বাহিনী সংগঠিত করছে। আমরা আমাদের নাম কলঙ্কিত হতে দিতে পারি না।"
মায়ানমারে মোট তিন দফায় নির্বাচন হবে। রবিবার দেশে চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ১১ জানুয়ারি। শেষ দফার নির্বাচন হবে ২৫ জানুয়ারি। ৩৩০ শহরের মধ্যে ১০২ শহরে নির্বাচন হচ্ছে রবিবার। জানা গিয়েছে, গৃহযুদ্ধের কারণে ৬৫ শহরে ভোট হবে না। ৫৭টি দল এই নির্বাচনে যোগ দিলেও বেশিরভাগ দল নিজেদের প্রদেশের বাইরে প্রার্থী দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেনাপন্থী দল ইউএসডিপি দেশের ক্ষমতা দখল করবে। ২০২০ সালের নির্বাচনে সু কি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু সেনা অভিযোগ করে, সেই নির্বাচনে ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এরপরই সেনা অভ্যুত্থানে পতন হয় সু কি-র সরকারের। তারপর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা।
