সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হতেই ভয় পাচ্ছে চিন। মনে করা হচ্ছে, বেজিংকে এবার আরও চাপে ফেলবে ওয়াশিংটন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও মুদ্রাসঙ্কোচন সেখানকার এক বড় সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চিন ১.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে গতি হারাতে থাকা ঘরোয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উৎসাহিত করতে।
২০১৮ সালে চিনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। ‘বদলা’ নিতে চিন মার্কিন পণ্যের আমদানিতে চাপিয়ে দেয় ১১০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক। ট্রাম্প ফিরলে ৬০ শতাংশ শুল্কবৃদ্ধির আশঙ্কা ছিলই। বৃহস্পতিবার মার্কিন মসনদে বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হতেই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে চিন। এর আগেও অবশ্য এই ধরনের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে জিনপিং প্রশাসনকে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পড়শি দেশের এই নয়া আর্থিক প্যাকেজ থেকে ভারত কি কোনও ফায়দা পাবে? ঘটনা হল, চিনের এই আর্থিক প্যাকেজ ভারতীয় শেয়ার বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর আগে যখন আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিল চিন, সেই সময়ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা চিনা বাজারে বিনিয়োগ করছিলেন। যার ফলে এদেশের শেয়ার বাজার ধাক্কা খেয়েছিল। এবারও তেমন হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এবছরটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড়’ বছর। ৭২টি দেশের ৩৭০ কোটি মানুষ এবার ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন বা নেবেন। যার মধ্যে ছিল এদেশের লোকসভা নির্বাচনও। কিন্তু মার্কিন নির্বাচন যে ভূ-রাজনৈতিক দাঁড়িপাল্লায় সবচেয়ে ভারী, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। আর বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণার পরই তা নতুন করে অনুভূত হতে চলেছে।