সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্রুত পালটাচ্ছে সমীকরণ। সোভিয়েত পরবর্তী জমানায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মার্কিন আধিপত্য। নতুন বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে চিন (China)। বাণিজ্য থেকে শুরু করে দক্ষিণ চিন সাগরে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে দুই মহাশক্তি। এহেন পরিস্থিতিতে সংঘর্ষ এড়াতে আলোচনার টেবিলে বসেছে ওয়াশিংটন ও বেজিং। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলেই মিলেছে ইঙ্গিত।
[আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে আমেরিকার ‘Mission Iraq’, লাগাতার যুদ্ধে ইতি টেনে ঘোষণা বাইডেনের]
সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেন আমেরিকার (America) ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরমান। পাশাপাশি, চিনের চিনের উপ বিদেশমন্ত্রী শি ফেংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তবে সেই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতির আশা করা যাচ্ছে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, বেজিং চড়া গলায় বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের দেখানো রাস্তায় আদৌ হাঁটতে রাজি নয়। পালটা সুর চড়িয়ে আমেরিকাকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার কথা বলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বৈঠকের পর চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমে আমেরিকার বিরুদ্ধে রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় শি ফেংকে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, চিনকে দানব প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে আমেরিকা। তাদের উন্নয়ন আটকাতেই অযৌক্তিক ও মনগড়া অভিযোগ আনে আমেরিকা। ওয়াশিংটন দমনমূলক কূটনীতির স্রষ্টা বলেও আক্রমণ করেন তিনি। ফেংয়ের বক্তব্য, “মনে হয় যেন চিনের উন্নয়ন আটকে দিলেই আমেরিকা আবার মহান হয়ে উঠবে। এটা আমরা কখনওই মানব না। অবিলম্বে আমাদের শত্রু ভাবা বন্ধ করুক আমেরিকা।”
এদিকে, বৈঠকে হংকং ও তিব্বতের মতো এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলি নিয়ে সরব হতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। উঠে এসেছে উইঘুর নিপীড়নের কথাও। সাইবার হামলা নিয়েও চিনা বিদেশমন্ত্রীর কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আমেরিকার উপ বিদেশসচিব। বৈঠকের পর আমেরিকা ও চিনের মধ্যে পরিস্থিটি যে খুব একটা বদলাবে না তা আকারে ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি ওয়েন্ডি শেরমান। তাঁর কথায়, “দুই দেশের মধ্যে থাকা সমস্যাগুলি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। এই সম্পর্ক তৈরির চেষ্টার প্রাথমিক পর্যায়ে এটা বোঝা যাচ্ছে না যে সমস্ত বিষয়ে আমরা কতটা অগ্রসর হতে পারব।”