সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামেই শর্ত সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু লড়াই থামার নেই। যুদ্ধের ময়দানে আগুন ঝরাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন। জারি রয়েছে প্রাণহানি। এতদিন রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজকে সঙ্গ দিত উত্তর কোরিয়ার সেনা। কিন্তু এবার মস্কোর হয়ে ময়দানে নেমেছে চিনের নাগরিকরা। যারা পালটা মার দিচ্ছে কিয়েভকে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই যুদ্ধে চিনকে টেনেছেন। এমনই দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে যতই গুঞ্জন তৈরি হোক, ইউক্রেনে রুশ হামলা থামার নামই নেই। গত শুক্রবার এক রুশ ব্যালিস্টিক মিসাইল আছড়ে পড়ায় প্রাণ হারান ১৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৯টি শিশুও ছিল। আর তারপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন, যুদ্ধ থামানোর প্রতিটি রুশ প্রতিশ্রুতি এই হামলার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার তথ্য দিয়ে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, "প্রায় দেড়শোর উপর চিনা নাগরিক রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে লড়াই করছে। দোনেৎস্ক অঞ্চলে দুই চিনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ায় আটক ইউক্রেনীয় বন্দিদের বিনিময়ে আমরা চিনা নাগরিকদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত।"
রাশিয়াকে তোপ দেগে জেলেনস্কি বলেন, "এটি রাশিয়ার দ্বিতীয় ভুল। প্রথমটি ছিল উত্তর কোরিয়া। তারা অন্যান্য দেশকে যুদ্ধে টেনে আনে। আমি বিশ্বাস করি যে তারাই এখন চিনকে এই যুদ্ধে টেনে আনছে।" যদিও তাঁর এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয় বেজিং। বিবৃতি দিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানান, "ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চিন সরকার সর্বদা তাঁদের নাগরিকদের উত্তপ্ত এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যেকোনও ধরণের সংঘাতে জড়াতে নিষেধ করে।"
উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন এবং ট্রাম্প সহমত যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুদেশেরই অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে পরিমাণ শক্তি এবং প্রাণের অপচয় হয়েছে তা মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহার করা যেত। যদিও এখনই পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরামে রাজি নয় রাশিয়া। এর মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা যে যুদ্ধবিরতির দিকে পদক্ষেপ নয়, সেই দাবিতেই সরব হয়েছে ইউক্রেন।