সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল্লাকে অপমান করার অভিযোগে চারটি গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানে (Pakistan)। এছাড়াও ভাঙচুর চালানো হয়েছ বেশ কয়েকজন খ্রিস্টানের বাড়িতেও। বাইবেল পুড়িয়ে খ্রিস্টানদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। প্রায় ১০০ জনের বিশাল দল মিলে গির্জায় ভাঙচুর চালাচ্ছে, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই আটক করা যায়নি বলেই খবর। প্রসঙ্গত, জুন মাসেই কোরানকে অপমান করার অভিযোগে এক খ্রিস্টান যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাক আদালত।
পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা শোনা গিয়েছে একাধিকবার। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মঙ্গলবারের ঘটনা। জানা গিয়েছে, চার্চের এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননার অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই ব্যক্তি ঠিক কী করেছিলেন সেই বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই একসঙ্গে চারটি গির্জায় হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। জারানওয়ালা এলাকার গির্জাগুলিতে হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ব্যবহৃত হবে না ‘পতিতা’, ‘সতী’র মতো শব্দ, লিঙ্গবৈষম্য রুখতে নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টে]
ভিডিও গুলিতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ জনের একটি দল লাঠি হাতে গির্জায় ভাঙচুর চালায়। গির্জার নানা জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গির্জার চারপাশ, এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে ভিডিওগুলিতে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকা থেকে খ্রিস্টানদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই খবর।
গোটা ঘটনায় মর্মাহত হয়ে টুইট করেছেন স্থানীয় বিশপ আজাদ মার্শাল। জ্বলন্ত গির্জার ছবি প্রকাশ করে তিনি লেখেন, “বিচারের জন্য ভিক্ষা চাইছি আমরা। সদ্যই স্বাধীনতা দিবস পালন করেছি। তারপরেও আমাদের নিরাপত্তার আশ্বাস নেই। আমাদের গির্জার ধ্বংস করে বাইবেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোরানের অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে আমাদের বিরুদ্ধে।” হামলার অভিযোগ উঠলেও এখনও কারোওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।