সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজতন্ত্রের সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জনবিক্ষোভ শুরু হয়েছে থাইল্যান্ড (Thailand)। গত পাঁচদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি হলেও তা উপেক্ষা করে পড়ুয়াদের নেতৃত্বে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত চারটি সংবাদ সংস্থাকে বন্ধ করে দিল থাইল্যান্ডের প্রশাসন। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়াদের ফেসবুক পেজটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী গত পাঁচ দিন ধরে জন আন্দোলনের যে সমস্ত ছবি ও ভিডিও তারা আপলোড করেছে সেগুলিও মুছে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ব্যাংকক (Bangkok) -এর রাস্তায় প্রবল বিক্ষোভকে দমাতে কড়া পদক্ষেপ নেয় থাই প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের শরীরে গরম জল ছেটাও। তাতেও অবশ্য তাঁদের দমানো যায়নি। উলটে উত্তেজনার পারদ আরও বাড়তে থাকে। শনিবার ব্যাংককের মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের থামানো যায়নি।
[আরও পড়ুন: দ্বীপরাষ্ট্রে ধাক্কা খেল ‘ড্রাগন’, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় ভারতীয় নৌসেনা ]
এরপরই আন্দোলনকে থামানো জন্য চারটি সংবাদ সংস্থা ও বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়াদের প্রধান ফেসবুক পেজ বন্ধ করার পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন। সোমবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। সরকারের তরফে সেটি জাতীয় সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ কমিশনের আদেশ বলা হলেও তাতে সই করেন থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান। যদিও তাতে বিক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালাংকর্ণ ২০১৬ সাল থেকে দেশের ক্ষমতায় আসীন থাকলেও বেশিরভাগ সময় কাটানো জার্মানিতে। সেখানে কাটানোর তাঁর বিলাসিতার ছবি থাইল্যান্ডের মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়ে ছিল। মাস তিনেক আগে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানের সময় রাজ পরিবারের এক সদস্যের গাড়িকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এরপর থেকেই রাজার ক্ষমতা কমানো ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা।