সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেফ্রি এপস্টেইন। কুখ্যাত এই যৌন অপরাধী সংক্রান্ত নয়া নথি প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। আর সেই নথি থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, বহু বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন। যদিও মার্কিন ন্যায়বিভাগ এমন অভিযোগকে নস্যাৎ করে জানিয়েছে, এমন অভিযোগ সত্যি নয়।
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ বরাবরই অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। এমনকী সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত নথিতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম বারবার উঠে এসেছে। বিরোধীদের দাবি, এভাবে ক্লিন্টনের দিকে নজর ঘুরিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চাইছেন ট্রাম্প। কিন্তু এবার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের কথা জানা গেল। যদিও ন্যায় বিভাগ জানাচ্ছে, ২০২০ নির্বাচনের আগে এই ধরনের অভিযোগ এফবিআইও পেয়েছিল। বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ''পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া যাক, এই দাবিগুলি অসত্য ও ভিত্তিহীন। যদি এর সামান্যতম বিশ্বাসযোগ্যতাও থাকত, তাহলে তা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হত।''
নতুন প্রকাশিত নথিগুলির মধ্যে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেল তদন্তকারীদের কাছে জমা দেওয়া কিছু প্রাথমিক তথ্য, যার মধ্যে একজন কথিত ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগ রয়েছে। তিনি ট্রাম্প ও এপস্টেইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। এছাড়াও একজন লিমুজিন চালকের একটি বিবৃতিও আছে, যিনি বলেছিলেন যে তিনি ট্রাম্পকে এপস্টেইনের সঙ্গে একটি মেয়েকে ‘যৌন নির্যাতন’ করার বিষয়ে আলোচনা করতে শুনেছেন। এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে এফবিআই কোনও তদন্ত করেছিল কিনা, তা নথিগুলোয় স্পষ্ট করা হয়নি।ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ওই মহিলা মাথায় গুলির আঘাতে মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
মার্কিন ন্যায় বিভাগ দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে, ফাইলগুলোর কোথাও ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা আইনজীবীদের এমন কোনও ইঙ্গিত দিতে দেখা যায়নি, যা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে কেন্দ্র করে কোনও রকম সন্দেহের উদ্রেক করে। তাঁকে এবিষয়ে জেরা করা হয়েছিল, এমনটাও জানা যাচ্ছে না। ট্রাম্প যতই একসময় এপস্টেইনের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রেখে থাকুন, নথিগুলো তাঁকে কোনও ফৌজদারি অভিযোগের অভিযুক্ত করে না বলেই জানানো হয়েছে।
