সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। সেই নিয়ে এবার বাগযুদ্ধে জড়ালেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় তাহলে ফল ভুগতে হবে আমেরিকাকে। এহেন হুঁশিয়ারির পালটা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।
মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে ভয়াবহ এবং অর্থহীন এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন পুতিন। তিনি তা বন্ধ করতে আগ্রহী নন। এর শাস্তিস্বরূপ দুই বৃহত্তম রুশ তেল সংস্থা রসনেফট এবং লুকঅয়েল-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। এই দুই তেল সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তারা পুতিনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’ প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুতিন সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন আমেরিকাকে। পুতিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুই তেল সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জেরে আসলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়বে। ফলে আমেরিকা-সহ বহু দেশ সমস্যায় পড়বে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে। যদিও সেই ধাক্কা খুব বেশি জোরাল হবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী পুতিন। তবে আমেরিকাকে তাঁর হুঁশিয়ারি, মার্কিন টোমাহক তুলে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের হাতে। সেটা ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার উপরে হামলা চালায় তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।
পুতিনের এই মন্তব্য শুনে ট্রাম্প পালটা বলেন, "পুতিন যে এরকম ভাবছেন সেটা শুনে বেশ ভালো লাগল। তবে ৬ মাসের মধ্যেই দেখে নেব, কীভাবে কী হয়।" অন্যদিকে, রুশ সংস্থার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় খুশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শোনা যাচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে রুশ তেল কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রেতারা।
