সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফের একবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলেছেন তিনি। আর ট্রাম্প ২.০ সরকারেই হয়ত বড় কোনও প্রশাসনিক পদ পেতে চলেছেন ধনকুবের এলন মাস্ক। চলেছে এমনই জল্পনা। আর এই জল্পনাই আরও উসকে দিলেন ট্রাম্প নিজেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা ফোনে কথা বলতে বলতেই তিনি ডাকেন টেসলা কর্তা মাস্ককে। কথা বলিয়ে দেন জেলেনস্কির সঙ্গে।
ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের গভীর বন্ধুত্ব অনেকদিনের। রিপাবলিকান নেতার নির্বাচনী প্রচারেও জনতার সামনে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে এক্সের মালিককে। ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর পারিবারিক ছবিতেও দেখা গিয়েছে মাস্ককে। এখন ঠিক যেন ছায়াসঙ্গীর মতোই ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবার ফ্লোরিডার প্লাম বিচের রিসোর্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলন মাস্ক। হঠাৎ ট্রাম্প কথা বলতে বলতে ডাকেন তাঁকে। জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
হবু প্রেসিডেন্টের কথা মতো ফোনে কথা বলেন মাস্ক। এই প্রথমবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা হল তাঁর। জানা গিয়েছে, ৩ জন মিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেন। আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভের পাশে থাকার বার্তা দেন ট্রাম্প। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যোগাযোগের জন্য এলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবস্থা ব্যবহার করছে ইউক্রেন। রুশ ফৌজের উপর নজর রাখতেও এর সাহায্য নিচ্ছে কিয়েভ। যুদ্ধের জন্য রাশিয়া অনেক নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ জেলেনস্কির দেশের কাছে। ফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এই পরিষেবা বজায় রাখার আশ্বাস দেন মাস্ক। এই কথোপকথনের কথা প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা আরও বেড়েছে। যেভাবে জেলেনস্কির সঙ্গে মাস্কের কথা বলিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প তাতে মনেই হচ্ছে এবার নয়া সরকারে নতুন কোনও পদ পেতে পারেন মাস্ক।