সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ড্রাগনের’ উপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ নভেম্বর থেকেই তা লাগু হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে এবার জানা গেল, ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি বসতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রনায়ক! ঘোষণা হোয়াইট হাউসের।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, শুক্রবারই মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ট্রাম্পের। এরপরই তিনি যাবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। আর সেখানেই ৩০ অক্টোবর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
জিনপিং-ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক হতে পারে এই সম্ভাবনা অবশ্য নতুন নয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। আর সেই সঙ্গেই বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে টেনশন বাড়ছিল। দিনকয়েক আগেই অবশ্য এই বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বৈঠক কি সেই উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারবে? আপাতত এই প্রশ্নই প্রবল হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, শেষপর্যন্ত এই বৈঠক হলে এটাই মসনদে ফেরার পর ট্রাম্পের জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হবে।
কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্য চুক্তি না হলে ‘ড্রাগনের’ উপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। তবে সেই সঙ্গেই বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি চিনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে চান না। কিন্তু বেজিং বছরের পর বছর ধরে আমেরিকার প্রতি রূঢ় আচরণই করেছে। ট্রাম্প বলেন, “আশা করব আমাদের এই কড়া পদক্ষেপ করতে হবে না। তার আগেই প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে ভালো বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পারব।” এই পরিস্থিতিতে বৈঠক হলে পরিস্থিতি বদলাতেই পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
কিন্তু কেন হঠাৎ চিনের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প? একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিরল খনিজ রপ্তানির উপর চিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প দাবি করেন, চিনের ওই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বেই প্রভাব পড়ত। একইসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চিনের ‘দাদাগিরি’ খর্ব করতেই আমেরিকা এই পদক্ষেপ করেছে।
