সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেকর্ড ভোটে জয় পেয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফের একবার হোয়াইট হাউসের গদিতে বসবেন তিনি। তার আগে আমেরিকা সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে তাঁর। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা বিদেশমন্ত্রকের। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ওঠে কি না সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
পিটিআই সূত্রে খবর, জয়শংকরের এই সফর ৫ দিনের। আজ মঙ্গলবার থেকেই আমেরিকায় তাঁর কর্মসূচি শুরু হবে। ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি থাকবেন ওয়াশিংটনে। এনিয়ে গতকাল বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানায়, '২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই সফরে তিনি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠকে বসবেন আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে।'
জানা গিয়েছে, এই সফরে জয়শংকর বিদায়ী মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা। মনে করা হচ্ছে, এই সফরে জয়শংকর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। এর আগে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। এছাড়া শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে দিল্লিকে সরকারিভাবে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। যা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় বিদেশমন্ত্রক। এই আবহে জয়শংকরের আমেরিকা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও মোদির বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই ‘প্রিয় বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নমো। শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি। আমি খুবই আগ্রহী আমাদের সম্পর্কে পুনর্জীবিত করার জন্য। এই বন্ধন কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মানবকল্যাণে আমরা একযোগে কাজ করব।’ ফলে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বে আরও মজবুত হবে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।