সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের উপর নজরদারি সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF) ধূসর তালিকায় ছিল পাকিস্তান। ২০২২ সালের অক্টোবরে সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে ইসলামাবাদ। কিন্তু ফের কি ওই তালিকায় ঢুকে পড়বে প্রতিবেশী দেশটি? তেমনই হুঁশিয়ারি দিল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানাল, তালিকা থেকে বেরিয়ে আসাটা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাল হতে পারে না!
এফএটিএফের সভাপতি এলিসা ডি আন্ডা মাদ্রাজো জানিয়েছেন, ''যে কোনও দেশ যারা ধূসর তালিকায় ছিল, কিন্তু পরে বেরিয়ে এসেছে, সেটা জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসে মদতদাতা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বুলেটপ্রুফ ঢাল হতে পারে না।''
কিন্তু কেন হঠাৎ এই হুঁশিয়ারি? মাসুদ আজহারের নেতৃত্বে জইশ নাকি ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করছে সন্ত্রাসের অর্থ জোগাড় করতে। পাশাপাশি হাফিজ সইদের মতো রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত জঙ্গি নেতারা পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই খবরও মিলছে। এহেন পরিস্থিতিতে এফএটিএফের এই সতর্কবার্তা। তারা জানিয়েছে, যে দেশ একবার এই তালিকায় প্রবেশ করেছিল, পরে সেই দেশ তালিকায় না থাকলেও তাদের কড়া পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (Financial Action Task Force) বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়টি নজর রাখে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে তারা। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে পাক সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালে সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ইসলামাবাদ। কিন্তু এরপরও বারবার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগই উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছে ভারত। এমনকী, পাকিস্তান আলোচনায় বসতে চাইলেও নয়াদিল্লি পরিষ্কার করে দেয়, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। সবার আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এবার এফএটিএফের হুঁশিয়ারির নেপথ্যেও রইল 'মুখোশধারী' পাকিস্তানের সেই দিকটিই। ফলে অচিরেই ফের তারা ধূসর তালিকাভুক্ত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
