সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে কোটি কোটি ডলারে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা! এমনই বিস্ফোরক দাবি জন কিরিয়াকউ নামের প্রাক্তন সিআইএ আধিকারিকের। ১৫ বছর তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নানা বিষয়েই কথা বলেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম নিঃসন্দেহে মুশারফ ও পাকিস্তান নিয়ে এই দাবি। এবং ওই অর্থের বিনিময়ে মুশারফ আমেরিকার হাতে কার্যতই পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেন বলে দাবি যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার।
এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''আমেরিকা একনায়কদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করে। কেননা জনমত বা মিডিয়ার কোনও চাপ নেই। আমরা মুশারফকে কিনে নিয়েছিলাম। আমরা লক্ষ লক্ষ ডলার দিয়েছিলাম সামরিক ও আর্থিক সাহায্য হিসেবে। আর মুশারফ আমাদের পাকিস্তানে যা খুশি করতে দিয়েছিলেন।'' এর মধ্যেই যে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণও ছিল, সেকথাও বলেছেন জন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''২০০২ সালে যখন আমি পাকিস্তানে ছিলাম, তখন আমাকে বলা হয়েছিল (বেসরকারি ভাবে) যে পেন্টাগন পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ন্ত্রণ করে। মোশারফ আমেরিকার হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিলেন কারণ তিনি আপনাদের অনুমান মতোই ভয় পেয়েছিলেন (জঙ্গিদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া)।''
তিনি দাবি করছেন, মুশারফ 'ডবল গেম' খেলছিলেন সেই সময়। প্রকাশ্যে আমেরিকার জঙ্গিদমন অভিযানের সঙ্গে থাকছিলেন। অন্যদিকে পাক সেনা ও জঙ্গিদের ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে দিচ্ছিলেন। জনের কথায়, ''পাক সেনা আল কায়দা নিয়ে মাথা ঘামাত না। ওরা ভারতের কথা ভাবত। মোশারফ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালানোর সময় সন্ত্রাসবাদ দমনে আমেরিকার পক্ষে থাকার ভান করেছিলেন।''
নিজের দেশ সম্পর্কেও খোলামেলা ভাবে বিস্ফোরক কথা বলেছেন ওই প্রাক্তন সিআইএ আধিকারিক। তাঁর কথায়, ''আমরা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বাতিঘর হিসেবে নিজেদের দেখাতেই পছন্দ করতাম। কিন্তু তা ঠিক নয়। যেটায় আমাদের লাভ, আমরা সেটাই করতাম সেই দিনগুলোয়।'' সেই সঙ্গেই জনের দাবি, পাক পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু শেষপর্যন্ত সৌদি আরবের জেদেই তাদের পিছু হটতে হয়েছিল। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, আফগানিস্তানের তোরা বোরা পার্বত্য গুহা অঞ্চলে লাদেনকে কোণঠাসা করেও ধরতে পারা সম্ভব হয়নি! লাদেন মার্কিন সেনার চোখে ধুলো দিয়েছিল মহিলার ছদ্মবেশে।
