সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জার্মানির কয়লা খনি অঞ্চলে আটক হলেন জলবায়ু রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ গ্রেটা থুনবার্গ (Greta Thunberg)। ২০ বছরের সুইডিশ তরুণী ছাড়াও আরও বহু পরিবেশ কর্মীকে আটক করা হয় মঙ্গলবার। তবে পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলে খনি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন গ্রেটা ও অন্যরা। গত এক সপ্তাহ ধরেই আন্দোলনকারীদের আটক করছে জার্মানির প্রশাসন। ফলে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। দেশের আরও নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন।
ঠিক কী কারণে ওই খনি এলাকায় প্রতিবাদ আন্দোলনকারীদের? আসলে জার্মানির (Germany) রাইন নদীর তীরে অবস্থিত গার্জউইলার অঞ্চলে খনি সম্প্রসারণ করার সময় একটি গ্রামকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হচ্ছে গ্রামের সমস্ত বাড়ি। আর তার বিরুদ্ধেই পথে নেমেছেন পরিবেশকর্মীরা। পুলিশ প্রথমে তাঁদের এলাকা ছাড়ার আরজি জানায়। কিন্তু তাঁরা সরেননি। এরপরই তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আটকও করা হয়। যদিও পরে গ্রেটা-সহ বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাকি আর ৪০০ দিন, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হবে’, লোকসভার দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি]
গ্রেটার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সেখানে উপস্থিত হাজার ছয়েক আন্দোলনকারীর সামনে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে সরকারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে গর্জে ওঠেন গ্রেটা। পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে বাকিদের সঙ্গে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকেও। দেখা যায়, তিনজন পুলিশকর্মী গ্রেটাকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একজন গ্রেটার হাত ধরেছিলেন। পরে একটি পুলিশ ভ্যানে বসে থাকতে দেখা যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ আন্দোলনকারীকে। কয়েক ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেওয়া হয় আটক আন্দোলনকারীদের। কিন্তু বিতর্ক থামার নাম নেই।
স্কুল কামাই করে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখানো কিংবা পরিবেশ সম্মেলনে ভারচুয়াল বক্তৃতায় নরম গলায় বড়দের খানিকটা বকুনি – এভাবেই সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে চেনে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এখন তিনি আর কিশোরী নন, রীতিমতো তরুণী। সোজাসাপটা ভাষায় তাবড় রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণ নিয়ে গর্জে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। এবার তাঁকেই দেখা গেল জার্মানিতে।