সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠাল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন তাঁকে এমন 'শাস্তি'র মুখে পড়তে হল? এখনও পর্যন্ত 'হু' এই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা দুর্নীতির মামলাই রয়েছে নেপথ্যে। এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এই বছরের শুরুতে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন 'দুদক' হাসিনার মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তিনি তাঁর মায়ের প্রভাবেই WHO-এর আঞ্চলিক প্রধান হয়েছিলেন। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সায়মা নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন। এবং তিনি যে সংস্থার একসময় প্রধান ছিলেন সেই 'সূচনা ফাউন্ডেশন'-এর জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ২৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে জোগাড় করেছিলেন। যদিও তহবিলের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতারণার জন্য দণ্ডবিধির ধারা (৪২০) এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা ৫(২)। মনে করা হচ্ছে, এই অভিযোগগুলিই সায়মার 'শাস্তি'র ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'হেলথ পলিসি ওয়াচ' শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে 'হু' প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস মেল করে তাঁর সংস্থার কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন সায়মাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। গত ১১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ছুটি যে অনির্দিষ্টকালের জন্য, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
