সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিনই সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলছে ধর্মান্ধ মানুষরা। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার হিন্দু বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ইমরান খানের প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) এলাকার টেরি গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে আচমকা হামলা চালায় একদল ধর্মান্ধ মৌলবাদী। তারপর মন্দিরটি পুরো ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন দেবতার মূর্তি রাস্তার উপর ফেলে ভেঙে দেয়। চোখের সামনে সমস্ত বিষয় দেখেও ওই এলাকার স্থানীয় হিন্দুরা ভয়ে কোনও কথা কথা বলতে পারেননি। তবে পরে এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করে ইমরান খানের প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ফাইজার টিকা নেওয়ার ছ’দিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত মার্কিন নার্স! প্রশ্নে টিকার কার্যকারিতা]
অবশ্য গত মাসেও করাচির লেহেরি এলাকার সালার কম্পাউডে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ছেলের নামে ইসলাম অবমাননার মিথ্যে অপবাদ দিয়ে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও সেই একই বিচার হবে বলে আক্ষেপ পাকিস্তানি হিন্দুদের।
পাকিস্তানের ৭৫ লক্ষ হিন্দু নাগরিকদের মধ্যে বেশিরভাগই সিন্ধুপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানুষগুলির উপর সবথেকে বেশি অত্যাচার চালায় ইসলামিক মৌলবাদীরা। ধর্মস্থান ভাঙচুর করার পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নাবালিকা ও যুবতীদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে করে। কেউ কোনও প্রতিবাদ করলে তাঁকে গুম খুনও করে দেয়। সবকিছু জেনেও চুপ থাকে প্রশাসন।