সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স তার দেড়শো বছর। জন্মসূত্রে ভারতীয়। একের পর এক ঝুড়ি নেমেছে। সেগুলি এতই দীর্ঘ যে, কার্যত কাণ্ডের আকার নিয়েছে। এহেন এক বটগাছ এবার ধ্বংসের মুখে! প্রবল দাবানলে পুড়ছে হাওয়াই (Hawaii)। মার্কিন দ্বীপের মাউয়িতে অবস্থিত গাছটিকেও পুড়িয়ে দিয়েছে সেটি!
গত মঙ্গলবার মাউয়ি দ্বীপের কাছেই হ্যারিকেন ঝড় আছড়ে পড়ে। তারপরেই হাওয়ার ধাক্কায় লাহাইনা এলাকায় ঝড়ের দাপট শুরু হয়। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের শুরু। হুহু করে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। তার জেরেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা মাওয়ি দ্বীপ। জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন অনেকেই। আপাতত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে মৃত্যু মিছিল আরও বাড়বে বলেই উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা। এহেন পরিস্থিতিতে ৬০ ফুট দীর্ঘ দেড় শতকের বটগাছটিও ধ্বংসের মুখে! যতদূর দেখা যাচ্ছে, সেটি পুড়ে গেলেও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘খলিস্তানি সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণে তহবিল ব্রিটেনের, ভারতের চাপেই পদক্ষেপ?]
১৮৭৩ সালে ৮ ফুটের বটগাছটিকে (Banyan tree) নিয়ে আসা হয়েছিল হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। তারপর অনেক বদলে গিয়েছে পৃথিবী। নিজের স্থানে ঠায় দাঁড়িয়ে সভ্যতার এই পরিবর্তনের নীরব সাক্ষী থেকেছে আমেরিকার অন্যতম প্রাচীন এই গাছটি। শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন, বটটিও দগ্ধ হয়েছে।
যদিও লাহানিয়া রেস্টোরেশন ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর থিও মরিসন মনে করছেন, ”আমার কিন্তু মনে হয় সব ঠিক থাকবে। কোনও বটগাছকে মেরে ফেলা এতটা সহজ নয়। সত্যি বলতে কী আমি খুবই অবাক হব তেমন কিছু ঘটলে।” আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন পরিবেশবিদরা। মনে করা হচ্ছে, শিকড়ের ক্ষতি না হয়ে থাকলেও অচিরেই নতুন করে ডালপালা বাড়িয়ে আকাশকে ছোঁয়ার আশায় জীবিত হয়ে পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবে বটগাছটি।