সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছবির মতো শহর জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া। খেলা হোক বা ফেস্টিভ্যাল – উচ্ছলতায় ভরা দক্ষিণ আফ্রিকার নামী এসব শহর। সেই আনন্দের ছবি অবশ্য উধাও হয়েছে আগেই – বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপটের শুরুতে। এখন এসব শহরের দিকে চোখ পড়লে শিউড়ে উঠতে হয়। যেদিকে চোখ যায়, দেখা যায়, মাটি খুঁড়ে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শহরগুলো যেন গোরস্থান হয়ে উঠেছে। ফোর্বস (Forbes) সূত্রে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার গাওতেং প্রদেশে ১৫ লক্ষ কবর খোঁড়া হচ্ছে। এই গাওতেং প্রদেশেরই অন্তর্গত প্রিটোরিয়া এবং জোহানেসবার্গ শহর।
শুরুর দিকে পরিস্থিতি এতটা সংকটজনক ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকায়। বরং করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আফ্রিকায় হানা দিতে খানিকটা সময় নিয়েছিল। কিন্তু তারপরই হু হু করে আক্রমণ শানাতে থাকে মারণ জীবাণু। ইতিমধ্যে সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। এই অবস্থায় সম্প্রতি সংক্রমণের হার অনেকটাই উর্ধ্বমুখী। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছে প্রশাসন। দক্ষিণ আফ্রিকার গাওতেং প্রদেশ ইতিমধ্যেই ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০হাজার। এরপরই সেখানকার মেডিক্যাল কাউন্সিল সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। খোঁড়া হচ্ছে গণকবর।
[আরও পড়ুন: কুরসি বাঁচাতে নেপালে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী ওলি]
যদিও মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই কাজ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা। আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পথে হেঁটে তাঁদের মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া কতটা মানবিক, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গাওতেংয়ের মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক সদস্য স্বীকার করেই নিয়েছেন, তাঁরা যা করছেন, তা অত্যন্ত অস্বস্তিকর কাজ। তবে পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতায় তাঁরা বুঝতে পারছেন, হয়ত অনেককেই সুস্থ করে তোলা যাবে না। সেই আশঙ্কা থেকেই আগাম এই ব্যবস্থা বলে সাফাই কাউন্সিলের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাই প্রথম নয়, এর আগে বেশ কয়েকটি দেশে করোনার বড়সড় কোপের আশঙ্কায় এভাবে গণকবর (Mass Grave) খোঁড়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: হংকং ইস্যুতে চিনকে ধাক্কা, বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার]
The post ঘাতক করোনা থেকে নিস্তার নেই, আশঙ্কায় গণকবর খুঁড়েই চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা appeared first on Sangbad Pratidin.