সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে সপাটে চড় কষানোর পর, এবার রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে কার্যত কান ধরে ওঠবোস করালো ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি পর্বতনেনি হরিশ জানালেন, সন্ত্রাস ও ধর্মান্ধতায় ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। বেঁচে রয়েছে ঋণের উপর। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার জন্য আইএমএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে হরিশ বলেন, একদিকে ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা নিজেদের অর্থনীতিকে ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে চলেছি। অন্যদিকে পাকিস্তান হল সেই দেশ যারা ধর্মান্ধতা ও সন্ত্রাসে ডুবে রয়েছে। বেঁচে রয়েছে আইএমএফের ঋণের উপরে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বিশ্ব শান্তি ও নিরাপদ ভবিষ্যতের বিষয়ে আলোচনা করি তখন এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, কিছু মৌলিক নীতিকে সকলের সম্মান করা উচিৎ। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল সন্ত্রাসের প্রতি জিরো টলারেন্স। যেটা পাকিস্তানের জন্য উপযুক্ত নয়।
পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কথা তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি জানান, যে সব দেশ সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসকে মদত দিয়ে চলে, প্রতিবেশীর দায়িত্ব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতি লঙ্ঘন করে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। কোনও অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদ সহ্য করা হবে না। শুধু তাই নয়, এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের তরফে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হল, পাকিস্তান আসলে ঋণের উপর বেঁচে থাকা ভিক্ষুকের দেশ। পাশাপাশি, পাকিস্তানকে দফায় দফায় ঋণ দেওয়ার জন্য আইএমএফের সমালোচনা করেছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, আইএমএফের টাকা ঘুরপথে যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে। তারপরও এই ঋণ আসলে ঘুরিয়ে সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া।
অন্যদিকে, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি তাঁর জন্য হয়েছে বলে বারবার দাবি করেছেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রসংঘেও সেই দাবি করে বসেন মার্কিন প্রতিনিধি ডরোথি ক্যামেলি। তিনি বলেন, গত তিন মাসে মার্কিন নেতৃত্ব ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে, কঙ্গো ও রাওয়ান্ডার মধ্যে এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের কাজ করেছে। তবে ভারত-পাক সংঘর্ষে মার্কিন দাবি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দেন ভারতের প্রতিনিধি। হরিশ জানান, পাকিস্তানের আবেদনেই সংঘর্ষ থামানো হয়েছিল। এখানে তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ ছিল না। ভারত জবাবি হামলার পর পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ করার জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানায়। তার ভিত্তিতেই ভারত হামলা বন্ধ করে।
