সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার কোপেনহেগেনে নর্ডিক দেশ অর্থাৎ, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। সেখান থেকে উড়ে যান ফ্রান্সে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) দেখামাত্রই উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। বন্ধু মোদিকে বুকে টেনে নিতে দেখা যায় ম্যাক্রোঁকে। মোদি-ম্যাক্রোঁর এই সাক্ষাৎকে ভারতের বিদেশমন্ত্রক দুই বন্ধুর সাক্ষাৎ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
বিদেশমন্ত্রক জানাচ্ছে, মোদি-ম্যাক্রোঁর বৈঠকে ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে ইউক্রেনে দ্রুত শান্তি ফেরানোর দাবিতে যৌথ একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারত এবং ফ্রান্স। দু’দেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”ফ্রান্স এবং ভারত উইক্রেনে ঘটে চলা মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ইউক্রেনে যেভাবে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু হচ্ছে, দুই দেশই তার তীব্র নিন্দা করছে। এবং যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফেরানোর দাবি জানাচ্ছে।” এরপরই আলাদা করে ফ্রান্স ইউক্রেনে রুশ সেনার আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে। ভারত রুশ সেনা বিরোধী বিবৃতিতে সই করেনি।
[আরও পড়ুন: নেই শিক্ষক, ক্লাস নিচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা! মোদির রাজ্যে সরকারি স্কুলের বেহাল দশা]
এ তো গেল ইউক্রেন (Ukraine-Russia War) প্রসঙ্গ। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাতে আগামী দিনে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে কৌশলগত আদানাপ্রদান আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর আলোচনার পর ফ্রান্স ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার কাজে আরও বেশি করে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যেভাবে পারস্পারিক সহযোগিতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা আগামী দিনে আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই দেশই। বৈঠক শেষে ম্যাক্রোঁকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়ে এসেছেন মোদি।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে স্যালারি স্লিপ দেখাতে বাধ্য স্বামী? কী বলছে আদালত? ]
তিনদিনের ইউরোপ সফর শেষে বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের দাবি তিনদিনের সফরে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন মোদি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।